শ্রীঅরবিন্দ : নিজের কথা বাংলা পিডিএফ ডাউনলোড
ডিজিটাল বইয়ের নাম- শ্রীঅরবিন্দ : নিজের কথা (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড একত্রে)
বইয়ের ধরন- জীবনী মুলক
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪১১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৯এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
অরবিন্দ ঘোষ, শ্রীঅরবিন্দ (১৮৭২-১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ব্রিটিশ শাসিত ভারতের কজন প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতা, তদকালিন ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনের নেপথ্য নায়ক, আধ্যাত্মসাধক এবং দার্শনিক। শ্রীঅরবিন্দ ভারতের বৈদান্তিক ভাবধারার সঙ্গে পাশ্চাত্যের আধুনিক রাষ্ট্রদর্শনের সংমিশ্রণে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করেছেন।
অরবিন্দ জন্মেছিলেন কলকাতায় ১৫ই অগষ্ট ১৮৭২ তারিখে। তাঁর পিতা কৃষ্ণধন ঘোষ ছিলেন সুদৃঢ় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুরুষ, যাঁরা এদেশ থেকে প্রথম বিলাতযাত্রা করেন শিক্ষালাভের জন্য তাঁদের মধ্যে অন্যতম। দেশে ফিরে এলেন আচারে ব্যবহারে ও আদর্শে পুরো সাহেবীভাবাপন্ন হয়ে,--কাজেই অরবিন্দ শিশুকাল থেকে কেবল ইংরেজী ও হিন্দী কথাই বলতে শিখলেন, বহু পরে মাতৃভাষা শিখেছিলেন ইংলণ্ড থেকে দেশে ফেরার পর। পিতা এ সম্বন্ধে দৃঢ়সংকল্প ছিলেন তাঁর ছেলেরা মানুষ হবে পাকা ইউরোপীয় আদর্শে। তারই জন্য ভারতে থাকতে তিনি তিন ছেলেকে প্রাথমিক শিক্ষা নিতে পাঠালেন দার্জিলিংএ আইরিশ নাদের স্কুলে। ১৮৭৯ সালে তিনি ইংলণ্ডে গিয়ে তিন ছেলেকে রেখে এলেন একজন ইংরেজী পাদ্রী ও তাঁর স্ত্রীর তত্ত্বাবধানে, এবং বিশেষ করে বলে এলেন যেন কোনো ভারতীয়ের সঙ্গে ওদের কদাচ মিশতে দেওয়া না হয়। সেই নির্দেশমত অরবিন্দ সেখানে শিক্ষা পেতে থাকলেন, ভারত বা সেখানকার মানুষ বা সেখানকার ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্বন্ধে কিছুই তিনি জানলেন না।
শ্রীঅরবিন্দের পিতা ওঁর নাম রেখেছিলেন অরবিন্দ অ্যাকিরয়েড ঘোষ, পরে তিনি অ্যারয়েড কথাটি পরিত্যাগ করেন।
এসবের পরে তিনি কিভাবে তদকালিন ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনের নেপথ্য নায়ক, আধ্যাত্মসাধক এবং দার্শনিক হয়ে উঠেছিলেন, জানতে এই জীবনী মুলক বইটি সাহায্য নিতেই হবে। বইটি শ্রীঅরবিন্দ আশ্রম ট্রাস্ট- পন্ডিচেরী থেকে ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত।
পথের দিশারী-
ভুল উদ্দেশ্য আরোপ করা
তুমি অনেক কিছু উদ্দেশ্য আরোপ করছ--যথা, মা প্রথমে প্রাণসত্ত্বাকে খেলতে দিয়ে তাকে বশীভূত করেন। তাঁর এরকম কোনও উদ্দেশ্য নেই। তিনি প্রাণসত্ত্বার সঙ্গে সহজ সরলভাবে ব্যবহার করেন-- যেটুকু পরিবর্তন দেখা যায় তা হচ্ছে তাঁর কাজ দেখে প্রাণসত্ত্বার যে রকম ধারণা হয়, ঠিক কাজের সম্বন্ধে ধারণা নয়--অবশ্য চেতনায় পরিবর্তন আসার সঙ্গে যে পরিবর্তন আসে তার কথা বলছি না। পূর্বে তুমি যা লিখতে তার বেশীর ভাগই আসত তোমার মনের উচ্চস্তর থেকে, এবং কিছুটা প্রাণের স্তর থেকে--তোমার প্রাণসত্ত্বা আমার জবাবে সন্তুষ্ট হ'ত না, কাজেই আমি তার জবাব দিতাম না, শুধু লিখতাম সেই সব যাতে তোমার মনের উচ্চস্তর ও চৈত্যপুরুষ সাহায্য পায়। এখন তুমি তোমার পার্থিব মনের বা প্রাণের স্তর থেকে লিখছ, এবং আমার জবাব যাচ্ছে তাদের কাছেই, তাদের মনোমত জবাব বা আদরের ভাষা পাচ্ছে না বলে তাদের ধারণা। কিন্তু তাদের সন্তুষ্ট করতে গেলে সেটা তোমার সাধনার অনুকূল হবে না।
৯-১২-১৯৩৫
অন্তরে উপস্থিতি
আনন্দে থাকো, বিশ্বাস রাখো। সন্দেহ, বাসনা প্রভৃতি থাকবেই, কিন্তু স্বয়ং ভগবানও তোমার মধ্যে আছেন। চোখ খুলে রাখো, তাকাও, শুধু তাকাও, যতক্ষণ পর্যন্ত না আবরণ ছিন্ন হয়, এবং ভগবান বা ভগবতীকে দেখতে পাও।
৩০-১২-১৯৩৩
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে অসাধারণ একটি জীবনী মুলক বই- 'শ্রীঅরবিন্দ : নিজের কথা'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- শ্রীঅরবিন্দ : নিজের কথা (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড একত্রে)
বইয়ের ধরন- জীবনী মুলক
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪১১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৯এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
অরবিন্দ ঘোষ, শ্রীঅরবিন্দ (১৮৭২-১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ব্রিটিশ শাসিত ভারতের কজন প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতা, তদকালিন ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনের নেপথ্য নায়ক, আধ্যাত্মসাধক এবং দার্শনিক। শ্রীঅরবিন্দ ভারতের বৈদান্তিক ভাবধারার সঙ্গে পাশ্চাত্যের আধুনিক রাষ্ট্রদর্শনের সংমিশ্রণে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করেছেন।
অরবিন্দ জন্মেছিলেন কলকাতায় ১৫ই অগষ্ট ১৮৭২ তারিখে। তাঁর পিতা কৃষ্ণধন ঘোষ ছিলেন সুদৃঢ় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুরুষ, যাঁরা এদেশ থেকে প্রথম বিলাতযাত্রা করেন শিক্ষালাভের জন্য তাঁদের মধ্যে অন্যতম। দেশে ফিরে এলেন আচারে ব্যবহারে ও আদর্শে পুরো সাহেবীভাবাপন্ন হয়ে,--কাজেই অরবিন্দ শিশুকাল থেকে কেবল ইংরেজী ও হিন্দী কথাই বলতে শিখলেন, বহু পরে মাতৃভাষা শিখেছিলেন ইংলণ্ড থেকে দেশে ফেরার পর। পিতা এ সম্বন্ধে দৃঢ়সংকল্প ছিলেন তাঁর ছেলেরা মানুষ হবে পাকা ইউরোপীয় আদর্শে। তারই জন্য ভারতে থাকতে তিনি তিন ছেলেকে প্রাথমিক শিক্ষা নিতে পাঠালেন দার্জিলিংএ আইরিশ নাদের স্কুলে। ১৮৭৯ সালে তিনি ইংলণ্ডে গিয়ে তিন ছেলেকে রেখে এলেন একজন ইংরেজী পাদ্রী ও তাঁর স্ত্রীর তত্ত্বাবধানে, এবং বিশেষ করে বলে এলেন যেন কোনো ভারতীয়ের সঙ্গে ওদের কদাচ মিশতে দেওয়া না হয়। সেই নির্দেশমত অরবিন্দ সেখানে শিক্ষা পেতে থাকলেন, ভারত বা সেখানকার মানুষ বা সেখানকার ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্বন্ধে কিছুই তিনি জানলেন না।
শ্রীঅরবিন্দের পিতা ওঁর নাম রেখেছিলেন অরবিন্দ অ্যাকিরয়েড ঘোষ, পরে তিনি অ্যারয়েড কথাটি পরিত্যাগ করেন।
এসবের পরে তিনি কিভাবে তদকালিন ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনের নেপথ্য নায়ক, আধ্যাত্মসাধক এবং দার্শনিক হয়ে উঠেছিলেন, জানতে এই জীবনী মুলক বইটি সাহায্য নিতেই হবে। বইটি শ্রীঅরবিন্দ আশ্রম ট্রাস্ট- পন্ডিচেরী থেকে ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত।
পথের দিশারী-
ভুল উদ্দেশ্য আরোপ করা
তুমি অনেক কিছু উদ্দেশ্য আরোপ করছ--যথা, মা প্রথমে প্রাণসত্ত্বাকে খেলতে দিয়ে তাকে বশীভূত করেন। তাঁর এরকম কোনও উদ্দেশ্য নেই। তিনি প্রাণসত্ত্বার সঙ্গে সহজ সরলভাবে ব্যবহার করেন-- যেটুকু পরিবর্তন দেখা যায় তা হচ্ছে তাঁর কাজ দেখে প্রাণসত্ত্বার যে রকম ধারণা হয়, ঠিক কাজের সম্বন্ধে ধারণা নয়--অবশ্য চেতনায় পরিবর্তন আসার সঙ্গে যে পরিবর্তন আসে তার কথা বলছি না। পূর্বে তুমি যা লিখতে তার বেশীর ভাগই আসত তোমার মনের উচ্চস্তর থেকে, এবং কিছুটা প্রাণের স্তর থেকে--তোমার প্রাণসত্ত্বা আমার জবাবে সন্তুষ্ট হ'ত না, কাজেই আমি তার জবাব দিতাম না, শুধু লিখতাম সেই সব যাতে তোমার মনের উচ্চস্তর ও চৈত্যপুরুষ সাহায্য পায়। এখন তুমি তোমার পার্থিব মনের বা প্রাণের স্তর থেকে লিখছ, এবং আমার জবাব যাচ্ছে তাদের কাছেই, তাদের মনোমত জবাব বা আদরের ভাষা পাচ্ছে না বলে তাদের ধারণা। কিন্তু তাদের সন্তুষ্ট করতে গেলে সেটা তোমার সাধনার অনুকূল হবে না।
৯-১২-১৯৩৫
অন্তরে উপস্থিতি
আনন্দে থাকো, বিশ্বাস রাখো। সন্দেহ, বাসনা প্রভৃতি থাকবেই, কিন্তু স্বয়ং ভগবানও তোমার মধ্যে আছেন। চোখ খুলে রাখো, তাকাও, শুধু তাকাও, যতক্ষণ পর্যন্ত না আবরণ ছিন্ন হয়, এবং ভগবান বা ভগবতীকে দেখতে পাও।
৩০-১২-১৯৩৩
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে অসাধারণ একটি জীবনী মুলক বই- 'শ্রীঅরবিন্দ : নিজের কথা'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment