"শরৎ-কথা" শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রায় ৪৫০টি শাশ্বত উদ্বৃতি সংগ্রহীত বাংলা অ্যাপস। - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Thursday, July 18, 2019

"শরৎ-কথা" শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রায় ৪৫০টি শাশ্বত উদ্বৃতি সংগ্রহীত বাংলা অ্যাপস।


"শরৎ-কথা" এটি বিশিষ্ঠ উপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রায় ৪৫০টি শাশ্বত উদ্বৃতি সংগ্রহীত বাংলা অ্যাপস

শরৎ-কথা

“শরৎচন্দ্রের দৃষ্টি ডুব দিয়েছে বাঙালীর হৃদয় রহস্যে। সুখে দুঃখে মিলনে বিচ্ছেদে সংঘটিত বিচিত্র সৃষ্টির তিনি এমন করে পরিচয় দিয়েছেন বাঙালী যাতে আপনাকে প্রত্যক্ষ জানতে পেরেছে। তার প্রমাণ পাই তার অফুরাণ আনন্দে। যেমন অন্তরের সঙ্গে তারা খুশি হয়েছে, এমন আর কারো লেখায় তারা হয়নি। অন্য লেখকেরা অনেকে। প্রশংসা পেয়েছে কিন্তু সর্বজনীন হৃদয়ের এমন আতিথ্য পায়নি। এ বিস্ময়ের চমক নয়, এ প্রীতি! অনায়াসে যে প্রচুর সফলতা তিনি পেয়েছেন তাতে তিনি আমাদের ঈর্ষাভাজন।
আজ শরৎচন্দ্রের অভিনন্দনে বিশেষ গর্ব অনুভব করতে পারতুম যদি তাকে বলতে পারতুম তিনি একান্ত আমারি আবিস্কার, কিন্তু তিনি কারও স্বাক্ষরিত অভিজ্ঞানপত্রের জন্য অপেক্ষা করেন নি। আজ তার অভিনন্দন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে স্বতঃউচ্ছ্বসিত। শুধু কথা-সাহিত্যের পথে নয়, নাট্যাভিনয়ে চিত্রাভিনয়ে তার প্রতিভার সংস্রবে আসবার জন্য বাঙালীর ঔৎসুক্য বেড়ে চলেছে। তিনি বাঙালীর বেদনার কেন্দ্রে আপন বাণীর স্পর্শ দিয়েছেন।
সাহিত্যে উপদেষ্টার চেয়ে স্রষ্টার আসন অনেক উচ্চে। চিন্তাশক্তির বিতর্ক নয়, কল্পনাশক্তির পূর্ণ দৃষ্টিই সাহিত্যে শাশ্বত মর্যাদা পেয়ে থাকে। কবির আসন থেকে আমি বিশেষভাবে সেই স্রষ্টা সেই দ্রষ্টা শরৎচন্দ্রকে মাল্যদান করি।”
– গভীর শ্রদ্ধায় অভিভূত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের ২৫শে আশ্বিন শরৎচন্দ্রের ৬১তম জন্মদিবসে অভিনন্দন জানিয়ে এই ঐতিহাসিক উক্তি করেছিলেন।

আকস্মিকভাবেই শরৎচন্দ্র একদিন বাংলা সাহিত্যের আসরে পদার্পণ করেছিলেন এবং প্রথম দিনেই আপন প্রতিভায় স্থান করে নিয়েছিলেন। তখন বাংলা সাহিত্যের আকাশে রবীন্দ্রনাথ আপন মহিমায় সগৌরবে অধিষ্ঠিত। তারই পাশে শরৎচন্দ্রও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে আপন স্থান করে নিলেন। যদিও তাঁর সাহিত্য সাধনার পরিধি অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু তার স্বল্প সংখ্যক পুস্তকের মধ্যে যে অনন্যসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর তিনি রেখেছিলেন যা চিন্তার অসাধারণত্বে, দৃষ্টিশক্তির তীক্ষ্ণতায় ও প্রখরতায়, কল্পনার ব্যাপকতায়, জ্ঞানের গভীরতায়, ভাষার বৈচিত্র্যে, চরিত্রসৃষ্টির অতুলনীয় নৈপুণ্যে, অসামান্য শিল্পশৈলীতে, সাহিত্যের মাধুর্য্যে এবং নিপীড়িত জনগণের প্রতি অসীম দরদববাধে শুধু বাংলা দেশেই নয়, সমগ্র ভারতবর্ষেই অভূতপূর্ব আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। উচ্চশিক্ষিত, অল্পশিক্ষিত, পুরুষ, নারী, বৃদ্ধ, যুবক, কিশোরকিশোরী নির্বিশেষে সকলের অন্তরেই শরৎচন্দ্র যেভাবে স্থান করে নিয়েছিলেন ইতিপূর্বে তা আর দেখা যায় নি। 

অসংখ্য মুগ্ধ পাঠক একই পুস্তক কতবার যে পড়েছেন, কিন্তু তাতেও পিপাসা মেটেনি, যত পড়েছে, ততই দুর্নিবার আকর্ষণ বেড়েছে। সাহিত্যে এমন যাদু এর আগে আর কখনও দেখা যায় নি। বাক্যের ধূম্রজাল নেই, শব্দের বাহুল্য নেই, নেই পাণ্ডিত্য জাহিরের ঝোক, কত জটিল ও কঠিন তত্ত্বকে এমন সহজ ও স্বচ্ছভাবে পরিবেশন করেছেন যে, চিন্তাশীল ব্যক্তি থেকে শুরু করে অতি সাধারণ মানুষ সকলেরই অনুভূতির তন্ত্রীতে নাড়া দিয়ে যায়, যে যার মত করে রত্ন সম্পদ আহরণ করেন, যা বিবেককে জাগিয়ে রাখে। যদিও সে যুগের বা পরবর্তীকালের শোষকশ্রেণী ও শাসককুল স্বাভাবিকভাবেই কখনও শরৎসাহিত্যকে সুনজরে দেখে নি। কারণ শরৎসাহিত্যের আবেদন মানুষের বিবেকের তন্ত্রীতে এমনভাবে নাড়া দিয়ে যায় যে, মানুষ অন্যায়, শোষণ, অত্যাচার ও মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করে পারে না। এইখানেই তাদের ভয়। এতসত্ত্বেও শরৎসাহিত্যের আবেদন আজও বিপুলবেগে বহমান। নানা ভাষায় বারবার অনূদিত হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ পাঠক বারবার তার বক্তব্য থেকে তাদের জীবনের রসদ সংগ্রহ করছে। বিশ্বের দরবারেও শরৎসাহিত্য আপন অমূল্য ঐশ্বর্য্যের শক্তিতে স্থান করে নিয়েছে।

যে শরৎসাহিত্য থেকে একদিন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, বিপিন পাল, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র, নেতাজী সুভাষচন্দ্র, নজরুল, সত্যেন বোস, মেঘনাদ সাহা প্রমুখের জ্ঞানপিপাসু রসগ্রাহী মন খাদ্য সংগ্রহ করত; যে শরৎসাহিত্য একদিন এই দেশের বিপ্লববাদকে জাগিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের ভিতকে কাঁপিয়ে তুলেছিল; আজকের এই সর্বাত্মক অন্ধকারাচ্ছন্ন দিনে যখন মূল্যবোধ, হৃদয়বৃত্তি, বিবেক সব কিছু ধ্বংসপ্রায় তখন আবার এই দেশে যৌবন ও মনুষ্যত্বকে জাগাবার জন্য সেই শরৎসাহিত্যের। অমূল্য রত্নভাণ্ডার থেকে সম্পদ আহরণ করতে হবে।

তাঁর নানান প্রবন্ধ, অভিভাষণ, গল্প, উপন্যাসের অংশবিশেষকে সংগ্রহ করেছিলাম আমরা সেই উদ্দেশ্যেই। সেখানে প্রায় ৪৫০টির মতো তাঁর উদ্ধৃতি সংগ্রহ করে একটি এ্যাপস বানিয়েছি, যাতে করে খুব সহজেই সেগুলি মোবাইলে পাঠ করা যায়। আপনারা চাইলে সেটি সংগ্রহ করে আপনার মোবাইলে ইনস্টল করে নিতে পারেন।

চলুন দেখা যাক কিছু নমুনা-


মোবাইল এ্যাপলিকেশনটি নীচের লিংক হইতে সংগ্রহ করে ইনস্টল করবেন, এটি আমার নিজের তৈরী এবং সম্পূর্ন ভাইরাস মুক্ত।
গুগোল ডাইভ লিংক- এখানে ক্লিক করবেন
অথবা
মিডিয়া ফায়ার লিংক- এখানে ক্লিক করবেন

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রায় ৪৫০টি শাশ্বত উদ্বৃতি সংগ্রহীত বাংলা অ্যাপস


No comments:

Post a Comment