পদবীর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস- খগেন্দ্র নাথ ভৌমিক বাংলা পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- পদবীর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস
লেখক- খগেন্দ্র নাথ ভৌমিক
বইয়ের ধরন- গবেষণা ও তথ্যমুলক বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৫৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৯এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
বাঙালী হিন্দুর নামের দুটি অংশ থাকে : একটি ব্যাক্তিগত নাম, অপরটি বংশগত নাম। দ্বিতীয়টি শেষে বসে এবং তাকে উপনাম বলা যায়। এই উপনামটি বংশকে চিহ্নিত করে। কিন্তু তার উৎপত্তি নানাভাবে ঘটেছে। কোথাও পূর্বপপুরুষের অতীতের বৃত্তি অনুসারে, কোথাও সরকার প্রদত্ত খেতাব অনুসারে, কোথাও শিক্ষাগত যোগ্যতাসচক উপাধি অনুসারে। বর্তমানকালে বৃত্তিসুচক উপনাম ব্যক্তি বিশেষের পেশা সুচিত করে না। কারণ অর্থনৈতিক বিন্যাসের পরিবর্তন হেতু পৈতৃক পেশা সাধারণত উত্তরপুরুষ ত্যাগ করে। আবার দেখা যায় একই উপনাম বিভিন্ন ব্যক্তিসুচক জাতির মানুষ ব্যবহার করে। এইভাবে উপনামের জটিলতা অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে গেছে।
আলোচ্য গ্রন্থের লেখক খগেন্দ্র নাথ ভৌমিক এই জটিল বিষয় সম্বন্ধে একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করেছেন। কাজটি যে কত কঠিন তা সহজেই বোঝা যায়। তিনি কঠোর পরিশ্রম করে উপনামগুলি সংগ্রহ করে, তাদের বিজ্ঞান সম্মত শ্রেণীতে সাজিয়েছেন। তালিকাগুলিতে বিভিন্ন নীতি অনুসারে উপনামের বিন্যাস দেখিয়েছেন। সবগুলি তালিকা জড়িয়ে পূর্ণ চিত্রটি পাওয়া যাবে। 'খ' চিহ্নিত তালিকায় সকল উপনাম পাওয়া যাবে। এটি সর্বপেক্ষা ব্যাপক তালিকা। ‘গ’ চিহ্নিত তালিকায় প্রতি বৃত্তিভিত্তিক জাতির তলায় তার অন্তর্ভুক্ত সকল উপনাম পাওয়া যাবে। অন্যগুলি পরিপূরক তথ্য স্থাপন করে। যেমন ‘ঘ’ তালিকায় একই উপনাম (লেখকের পরিভাষায় পদবীতে) কতগুলি বৃত্তিভিত্তিক জাতি ব্যবহার করে তা দেখান হয়েছে। যেমন, রায় উপাধি ব্রাক্ষণ, বৈদ্য, কায়স্থ, সূবর্ণবণিক, নমঃশূদ্র প্রভৃতি ব্যবহার করে। তা দেখায় অনেক ক্ষেত্রে উপনামের সাহায্যে বর্তমানে আর বংশের আভিজাত্যের পরিচয় মেলে না।
লেখক ঠিকই বলেছেন যে উপনামের ব্যবহার তুলে দিলে হয়ত জাতিভেদ সম্বন্ধে সচেতনতা উঠে যায়। কিন্তু তার যে একটি ব্যবহার যে নাই, তা নয়। তা ব্যক্তিকে তার পরিবারের সঙ্গে সংযুক্ত করে। দ্বিতীয়ত, রক্ষণশীল মনোভাব এ বিষয় এত প্রবল যে বলপূর্বক ছাড়া এমন নিষেধাত্মক বিধি প্রয়োগ করা যাবে না।
সে যাই হক, গ্রন্থকার যে একটি দূরূহ কাজ সাফল্যের সহিত সম্পাদন করেছেন তা সন্দেহাতীত। এই তথ্য-সমদ্ধ গ্রন্থখানি সমাজতত্ত্ব বিষয়ক গবেষণায় একটি মুলাবান সংযোজন হিসাবে স্বীকৃতি পাবার যোগ্য।- হিরণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
সংগৃহীত পদবীসমূহ পশ্চিমবঙ্গ ও বাঙ্গালাদেশ ছাড়াও অন্ধ, আসাম, উড়িষ্যা, উত্তরপ্রদেশ, কনৌজ, কেরালা, গুজরাট, ছোটনাগপুর, তামিলনাড়, দিল্লী, নেপাল, বিহার, মহারাষ্ট্র, মহীশুর, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, সাঁওতাল-পরগণা, সিংভূম ও হরিয়ানায় বসবাসকারী কতিপয় জাতির লোকদের দ্বারা ব্যবহৃত।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে একখানি অতিশয় মূল্যবান গবেষণাধর্মী বই- 'পদবীর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস- খগেন্দ্র নাথ ভৌমিক'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- পদবীর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস
লেখক- খগেন্দ্র নাথ ভৌমিক
বইয়ের ধরন- গবেষণা ও তথ্যমুলক বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৫৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৯এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
বাঙালী হিন্দুর নামের দুটি অংশ থাকে : একটি ব্যাক্তিগত নাম, অপরটি বংশগত নাম। দ্বিতীয়টি শেষে বসে এবং তাকে উপনাম বলা যায়। এই উপনামটি বংশকে চিহ্নিত করে। কিন্তু তার উৎপত্তি নানাভাবে ঘটেছে। কোথাও পূর্বপপুরুষের অতীতের বৃত্তি অনুসারে, কোথাও সরকার প্রদত্ত খেতাব অনুসারে, কোথাও শিক্ষাগত যোগ্যতাসচক উপাধি অনুসারে। বর্তমানকালে বৃত্তিসুচক উপনাম ব্যক্তি বিশেষের পেশা সুচিত করে না। কারণ অর্থনৈতিক বিন্যাসের পরিবর্তন হেতু পৈতৃক পেশা সাধারণত উত্তরপুরুষ ত্যাগ করে। আবার দেখা যায় একই উপনাম বিভিন্ন ব্যক্তিসুচক জাতির মানুষ ব্যবহার করে। এইভাবে উপনামের জটিলতা অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে গেছে।
আলোচ্য গ্রন্থের লেখক খগেন্দ্র নাথ ভৌমিক এই জটিল বিষয় সম্বন্ধে একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করেছেন। কাজটি যে কত কঠিন তা সহজেই বোঝা যায়। তিনি কঠোর পরিশ্রম করে উপনামগুলি সংগ্রহ করে, তাদের বিজ্ঞান সম্মত শ্রেণীতে সাজিয়েছেন। তালিকাগুলিতে বিভিন্ন নীতি অনুসারে উপনামের বিন্যাস দেখিয়েছেন। সবগুলি তালিকা জড়িয়ে পূর্ণ চিত্রটি পাওয়া যাবে। 'খ' চিহ্নিত তালিকায় সকল উপনাম পাওয়া যাবে। এটি সর্বপেক্ষা ব্যাপক তালিকা। ‘গ’ চিহ্নিত তালিকায় প্রতি বৃত্তিভিত্তিক জাতির তলায় তার অন্তর্ভুক্ত সকল উপনাম পাওয়া যাবে। অন্যগুলি পরিপূরক তথ্য স্থাপন করে। যেমন ‘ঘ’ তালিকায় একই উপনাম (লেখকের পরিভাষায় পদবীতে) কতগুলি বৃত্তিভিত্তিক জাতি ব্যবহার করে তা দেখান হয়েছে। যেমন, রায় উপাধি ব্রাক্ষণ, বৈদ্য, কায়স্থ, সূবর্ণবণিক, নমঃশূদ্র প্রভৃতি ব্যবহার করে। তা দেখায় অনেক ক্ষেত্রে উপনামের সাহায্যে বর্তমানে আর বংশের আভিজাত্যের পরিচয় মেলে না।
লেখক ঠিকই বলেছেন যে উপনামের ব্যবহার তুলে দিলে হয়ত জাতিভেদ সম্বন্ধে সচেতনতা উঠে যায়। কিন্তু তার যে একটি ব্যবহার যে নাই, তা নয়। তা ব্যক্তিকে তার পরিবারের সঙ্গে সংযুক্ত করে। দ্বিতীয়ত, রক্ষণশীল মনোভাব এ বিষয় এত প্রবল যে বলপূর্বক ছাড়া এমন নিষেধাত্মক বিধি প্রয়োগ করা যাবে না।
সে যাই হক, গ্রন্থকার যে একটি দূরূহ কাজ সাফল্যের সহিত সম্পাদন করেছেন তা সন্দেহাতীত। এই তথ্য-সমদ্ধ গ্রন্থখানি সমাজতত্ত্ব বিষয়ক গবেষণায় একটি মুলাবান সংযোজন হিসাবে স্বীকৃতি পাবার যোগ্য।- হিরণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
সংগৃহীত পদবীসমূহ পশ্চিমবঙ্গ ও বাঙ্গালাদেশ ছাড়াও অন্ধ, আসাম, উড়িষ্যা, উত্তরপ্রদেশ, কনৌজ, কেরালা, গুজরাট, ছোটনাগপুর, তামিলনাড়, দিল্লী, নেপাল, বিহার, মহারাষ্ট্র, মহীশুর, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, সাঁওতাল-পরগণা, সিংভূম ও হরিয়ানায় বসবাসকারী কতিপয় জাতির লোকদের দ্বারা ব্যবহৃত।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে একখানি অতিশয় মূল্যবান গবেষণাধর্মী বই- 'পদবীর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস- খগেন্দ্র নাথ ভৌমিক'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment