অঘোরে ঘুমিয়ে শিব- দেবারতি মুখোপাধ্যায় বই রিভিউ
বইয়ের নাম- অঘোরে ঘুমিয়ে শিব
লেখক- দেবারতি মুখোপাধ্যায়
প্রকাশনা- বুক ফার্ম (কলকাতা)
প্রকাশ কাল- নভেম্বর ২০১৮
বইয়ের ধরন- থ্রিলার উপন্যাস
'অঘোরে ঘুমিয়ে শিব' হল পাঠকদের তোলপাড় করে ফেলা তৃতীয় নম্বর থ্রিলার বই, এর আগের দুটি থ্রিলার হল- 'ঈশ্বর যখন বন্দী' এবং 'নরক সংকেত' ।
বইটি পড়ার পরে প্রতিক্রিয়া হিসাবে বলা যায় যে 'অঘোরে ঘুমিয়ে শিব' বইটি সত্যই খুব চমৎকার ভাবে সাজিয়েছেন লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায়। যদিও তিনি একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লিখেছেন তবুও তিনি শেষ ফিনিশিং টা সুন্দর ভাবে টেনে আর কোন নতুন বিতর্ক-এর জন্ম দেননি। আবার সেইসঙ্গে তিনি ভিষণ চমৎকার ভাবে গল্পের জালে ফেঁদেছেন পাঠকদের। প্রতিটা ঘটনার একটি চমৎকার মিলন দেখিয়ে তিনি বইটার গল্প সম্পুর্ন করেছেন। সেইজন্যই অনেক ঘাত প্রতিঘাত থাকা সত্বেও অসাধারণ লেগেছে বইটি।
কিছু কথা :
বির্তকিত কথাটি মানে প্রথমেই বলতে হয় যে 'অঘোরে ঘুমিয়ে শিব' বইটিতে লেখিকা একটি বির্তকিত অধ্যায় নিয়ে লিখেছেন। বিষয়টি এই যে তাজমহল নাকি তেজো মহালয়া নামক শিব মন্দির। এখন বেশকিছু গবেষক এটা প্রমান করেছিলেন যে তাজমহল তৈরি করার আগে সেখানে কিছু একটা ছিল। ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি যে তাজমহল এর জায়গাটুকু জয়সিংহ এর দখলে ছিল। শাজাহান সেই সময় জয়সিংহ এর কাছ থেকে জায়গাটুকু নিয়েছিলেন এবং সেটার বিনিময়ে তাকে অনেক জায়গা জমি দান করেছিলেন। কিন্তু ইতিহাস পড়ে কখনো কথাও পাইনি যে তাজমহল তৈরির আগে সেই স্থানটিতে কোন শিব মন্দির ছিল। এই বইটি লেখার আগেও একবার এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কিত হয়েছিল তাজমহলের আগে শিব মন্দির ছিল কিনা না। এখানে উদাহরন হিসাবে বলা যায় যে তাজমহল এর বেসমেন্ট এ কিছু কাষ্ঠ নিয়ে পরীক্ষা করে এক বিদেশি গবেষক উল্লেখ করেছিলেন যে এই কাষ্ঠ তাজমহলের বয়সের থেকে আড়াইশ বছরের বেশী পুরোনো। আবার তাজমহল এর কিছু সুরঙ্গের দরজা সরকার নিজ দায়িত্বে ইঁট পাথর দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে যে জায়গাটার ভিতর ছিল কয়েকটি ফাঁকা ঘর। আবার তাজমহল এর একটি সুরঙ্গে পথের ভিতর থেকে তালা লাগানো এইখানে প্রশ্নটা হলো ভিতর দিয়ে কে তালা লাগালো? এই তথ্যগুলো গুগোলে সার্চ দিলে আপনিও পেয়ে যাবেন। এইসব থেকে এইটা কখনো প্রমান হয়না যে তাজমহলের আগে সেখানে শিব মন্দির আদোও ছিল কিনা। যা হোক এই বিতর্কিত একটি টপিক নিয়ে লেখিকা দেবারতি মুখপাধ্যায় বইটি লিখেছেন। আপতত দৃষ্ট সৌন্দর্যমন্ডিত ও সপ্তম আশ্চর্য তাজ এর সেই রহস্য উৎঘাটন টাই ছিল রুদ্রাণী এর এডভেঞ্চার এর মুল। লেখিকা এখানে নতুন ভাবে কোন বিতর্কিত এর জন্ম দেননি পাঠকগণ সেটা গল্পর শেষে বুঝতে পারবেন। দেবারতি অনেক স্টাডি করে রেফারেন্স টেনে বইটি গল্প সাজিয়েছে এবং তার সাপেক্ষ তিনি সফল হয়েছেন।
এখন আমরা এই তোলপাড় করা থ্রিলারটি সম্পর্কের পাঠকের মতামত দেখে নেব-
গুডরিডসে মন্তব্যগুলি করেছেন রিজু গাঙ্গুলী
শাওন আরাফত-
*এই পোষ্টে শুধুমাত্র বইটির পর্যালোচনা ও পাঠকদের মন্তব্যগুলি তুলে ধরা হয়েছে, বইটির কোন পিডিএফ ফাইল শেয়ার করা হয়নি। পিডিএফের উপর কপিরাইট সমস্যা আছে।
**তবে আশার কথা এই যে বইটি এখন অনলাইনে বিশেষ অপেক্ষা ছাড়াই পাওয়া যাচ্ছে, আপনি চাইলে এই তোলপাড় করা থ্রিলার বইটির হার্ডকপি এখান হইতে সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
বইয়ের নাম- অঘোরে ঘুমিয়ে শিব
লেখক- দেবারতি মুখোপাধ্যায়
প্রকাশনা- বুক ফার্ম (কলকাতা)
প্রকাশ কাল- নভেম্বর ২০১৮
বইয়ের ধরন- থ্রিলার উপন্যাস
'অঘোরে ঘুমিয়ে শিব' হল পাঠকদের তোলপাড় করে ফেলা তৃতীয় নম্বর থ্রিলার বই, এর আগের দুটি থ্রিলার হল- 'ঈশ্বর যখন বন্দী' এবং 'নরক সংকেত' ।
দেবারতি মুখোপাধ্যায় |
কিছু কথা :
বির্তকিত কথাটি মানে প্রথমেই বলতে হয় যে 'অঘোরে ঘুমিয়ে শিব' বইটিতে লেখিকা একটি বির্তকিত অধ্যায় নিয়ে লিখেছেন। বিষয়টি এই যে তাজমহল নাকি তেজো মহালয়া নামক শিব মন্দির। এখন বেশকিছু গবেষক এটা প্রমান করেছিলেন যে তাজমহল তৈরি করার আগে সেখানে কিছু একটা ছিল। ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি যে তাজমহল এর জায়গাটুকু জয়সিংহ এর দখলে ছিল। শাজাহান সেই সময় জয়সিংহ এর কাছ থেকে জায়গাটুকু নিয়েছিলেন এবং সেটার বিনিময়ে তাকে অনেক জায়গা জমি দান করেছিলেন। কিন্তু ইতিহাস পড়ে কখনো কথাও পাইনি যে তাজমহল তৈরির আগে সেই স্থানটিতে কোন শিব মন্দির ছিল। এই বইটি লেখার আগেও একবার এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কিত হয়েছিল তাজমহলের আগে শিব মন্দির ছিল কিনা না। এখানে উদাহরন হিসাবে বলা যায় যে তাজমহল এর বেসমেন্ট এ কিছু কাষ্ঠ নিয়ে পরীক্ষা করে এক বিদেশি গবেষক উল্লেখ করেছিলেন যে এই কাষ্ঠ তাজমহলের বয়সের থেকে আড়াইশ বছরের বেশী পুরোনো। আবার তাজমহল এর কিছু সুরঙ্গের দরজা সরকার নিজ দায়িত্বে ইঁট পাথর দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে যে জায়গাটার ভিতর ছিল কয়েকটি ফাঁকা ঘর। আবার তাজমহল এর একটি সুরঙ্গে পথের ভিতর থেকে তালা লাগানো এইখানে প্রশ্নটা হলো ভিতর দিয়ে কে তালা লাগালো? এই তথ্যগুলো গুগোলে সার্চ দিলে আপনিও পেয়ে যাবেন। এইসব থেকে এইটা কখনো প্রমান হয়না যে তাজমহলের আগে সেখানে শিব মন্দির আদোও ছিল কিনা। যা হোক এই বিতর্কিত একটি টপিক নিয়ে লেখিকা দেবারতি মুখপাধ্যায় বইটি লিখেছেন। আপতত দৃষ্ট সৌন্দর্যমন্ডিত ও সপ্তম আশ্চর্য তাজ এর সেই রহস্য উৎঘাটন টাই ছিল রুদ্রাণী এর এডভেঞ্চার এর মুল। লেখিকা এখানে নতুন ভাবে কোন বিতর্কিত এর জন্ম দেননি পাঠকগণ সেটা গল্পর শেষে বুঝতে পারবেন। দেবারতি অনেক স্টাডি করে রেফারেন্স টেনে বইটি গল্প সাজিয়েছে এবং তার সাপেক্ষ তিনি সফল হয়েছেন।
এখন আমরা এই তোলপাড় করা থ্রিলারটি সম্পর্কের পাঠকের মতামত দেখে নেব-
গুডরিডসে মন্তব্যগুলি করেছেন রিজু গাঙ্গুলী
শাওন আরাফত-
*এই পোষ্টে শুধুমাত্র বইটির পর্যালোচনা ও পাঠকদের মন্তব্যগুলি তুলে ধরা হয়েছে, বইটির কোন পিডিএফ ফাইল শেয়ার করা হয়নি। পিডিএফের উপর কপিরাইট সমস্যা আছে।
**তবে আশার কথা এই যে বইটি এখন অনলাইনে বিশেষ অপেক্ষা ছাড়াই পাওয়া যাচ্ছে, আপনি চাইলে এই তোলপাড় করা থ্রিলার বইটির হার্ডকপি এখান হইতে সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment