গুপ্তচরবৃত্তি প্রাচীন ভারত ও মধ্যযুগ- গায়ত্রী চক্রবর্তী বাংলা বই
ডিজিটাল বইয়ের নাম- গুপ্তচরবৃত্তি প্রাচীন ভারত ও মধ্যযুগ
লেখক- গায়ত্রী চক্রবর্তী
বইয়ের ধরন- তথ্যমুলক
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১২১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
ভূমিকা-
বিশ্বের ছোটো বড় সমস্ত রাষ্ট্র গুপ্তচর শাসনব্যবস্থার এক বিশিষ্ট অঙ্গ। প্রতিরক্ষা ও সামরিক সাফল্যের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত, সুদক্ষ গুপ্তচরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সর্বাধুনিক যুদ্ধ, অর্থাৎ Modem war is an war of espionage.
গুপ্তচর ব্যবস্থা উৎপত্তির সঠিক কাল নির্ণয় করা সম্ভব নয়। সভ্যতার উষাকাল থেকে গোষ্ঠী সংঘাতে বিভিন্ন দলপতিরা একে অপরের গোপন সংবাদ সংগ্রহের জন্য গুপ্তচর নিযুক্ত করতেন। কালক্রমে রাষ্ট্রের উৎপত্তির সঙ্গে সঙ্গে শাসনব্যবস্থার বিভিন্ন শাখায় গুপ্তচর নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। প্রাচীন সভ্যতার কেন্দ্রস্থল ভারতবর্ষ, চীন, পারস্য, গ্রিস, রোম, আরব প্রভৃতি দেশে গুপ্তচর শাসনব্যবস্থার প্রধান অঙ্গ ছিল।
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে এম এ পড়ার সময় কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র নামক রাজনীতি বিষয়ক গ্রন্থটি আমাকে আকৃষ্ট করে। এই গ্রন্থটিতে কৌটিল্য বা চাণক্য নামক কুটনীতিবিদ গুপ্তচর প্রসঙ্গে বিশদ আলোচনা করেন। তাঁর মতে সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনা ও শাসকের ব্যক্তিগত সুরক্ষার প্রধান হাতিয়ার গুপ্তচর। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ড. করুণাপদ দত্ত বিষয়টি নিয়ে আমাকে গবেষণা করার পরামর্শ দেন। তার অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে Espionage in Ancient India বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করার অনুমতি লাভ করি। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপিকা ড, পূষ্প নিয়োগীর অধীনে গবেষণা শুরু করি। কাজটি যথেষ্ট দুরূহ ছিল। প্রাচীন ভারতীয় বিদগ্ধ পণ্ডিতগণ সাহিত্য রচনায় যথেষ্ট পারদর্শী হলেও ইতিহাস রচনায় নন। প্রামাণ্য তথ্য সংগ্রহের জন্য আমি দেশি লেখকদের রচনা, বিদেশি লেখকদের লেখা সাহিত্য, ইতিহাস, শিলালিপি, তাম্রলিপি এবং মুদ্রার সাহায্য নিয়েছি। ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় গুপ্তচরের ভূমিকা মূল্যায়ন করতে গিয়ে আমি কখনো কল্পনা বা প্রচলিত জনশ্রুতিকে প্রশ্রয় দিইনি। ১৯৮৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি Espionage in Ancient India নামক গবেষণা পত্র দাখিল করে পি এইচ ডি ডিগ্রি লাভ করি।
১৯৯০ সালে আমার কাকা সাংবাদিক ফণীভূষণ চক্রবর্তী এবং প্রকাশক সুশীল মুখার্জীর প্রচেষ্টায় Espionage in Ancient India গ্রন্থটি মিনার্ভা প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়।
২০০৭ সালে অবভাস পত্রিকায় Espionage in Ancient India-র সংক্ষিপ্ত বঙ্গানুবাদ প্রবন্ধাকারে প্রকাশিত হয়। পার্থ চক্রবর্তী অবভাসের পক্ষ থেকে আরও কিছু তথ্য দিয়ে বিষয়টি গ্রন্থাকারে প্রকাশের ইচ্ছা জানান। তার ফলে আমি সুলতানি ও মুঘল যুগ সময়কালের শাসনব্যবস্থায় গুপ্তচরের ভূমিকা সংযোজন করি। সুলতান ও মুঘল সম্রাটগণ শাসনব্যবস্থার সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন। অনেক তথ্য নষ্ট হয়ে গেলেও বিভিন্ন জাতীয় সংগ্রহশালায় এই সব রেকর্ড সংরক্ষিত আছে। এসব তথ্য নির্ভরযোগ্য।- গায়ত্রী চক্রবর্তী
এই বইতে লেখক ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় বিভিন্ন সময়েয় গুপ্তচরবৃত্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা উপরোক্ত মুল্যবান বই- 'গুপ্তচরবৃত্তি প্রাচীন ভারত ও মধ্যযুগ- গায়ত্রী চক্রবর্তী' বই-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- গুপ্তচরবৃত্তি প্রাচীন ভারত ও মধ্যযুগ
লেখক- গায়ত্রী চক্রবর্তী
বইয়ের ধরন- তথ্যমুলক
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১২১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
ভূমিকা-
বিশ্বের ছোটো বড় সমস্ত রাষ্ট্র গুপ্তচর শাসনব্যবস্থার এক বিশিষ্ট অঙ্গ। প্রতিরক্ষা ও সামরিক সাফল্যের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত, সুদক্ষ গুপ্তচরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সর্বাধুনিক যুদ্ধ, অর্থাৎ Modem war is an war of espionage.
গুপ্তচর ব্যবস্থা উৎপত্তির সঠিক কাল নির্ণয় করা সম্ভব নয়। সভ্যতার উষাকাল থেকে গোষ্ঠী সংঘাতে বিভিন্ন দলপতিরা একে অপরের গোপন সংবাদ সংগ্রহের জন্য গুপ্তচর নিযুক্ত করতেন। কালক্রমে রাষ্ট্রের উৎপত্তির সঙ্গে সঙ্গে শাসনব্যবস্থার বিভিন্ন শাখায় গুপ্তচর নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। প্রাচীন সভ্যতার কেন্দ্রস্থল ভারতবর্ষ, চীন, পারস্য, গ্রিস, রোম, আরব প্রভৃতি দেশে গুপ্তচর শাসনব্যবস্থার প্রধান অঙ্গ ছিল।
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে এম এ পড়ার সময় কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র নামক রাজনীতি বিষয়ক গ্রন্থটি আমাকে আকৃষ্ট করে। এই গ্রন্থটিতে কৌটিল্য বা চাণক্য নামক কুটনীতিবিদ গুপ্তচর প্রসঙ্গে বিশদ আলোচনা করেন। তাঁর মতে সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনা ও শাসকের ব্যক্তিগত সুরক্ষার প্রধান হাতিয়ার গুপ্তচর। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ড. করুণাপদ দত্ত বিষয়টি নিয়ে আমাকে গবেষণা করার পরামর্শ দেন। তার অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে Espionage in Ancient India বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করার অনুমতি লাভ করি। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপিকা ড, পূষ্প নিয়োগীর অধীনে গবেষণা শুরু করি। কাজটি যথেষ্ট দুরূহ ছিল। প্রাচীন ভারতীয় বিদগ্ধ পণ্ডিতগণ সাহিত্য রচনায় যথেষ্ট পারদর্শী হলেও ইতিহাস রচনায় নন। প্রামাণ্য তথ্য সংগ্রহের জন্য আমি দেশি লেখকদের রচনা, বিদেশি লেখকদের লেখা সাহিত্য, ইতিহাস, শিলালিপি, তাম্রলিপি এবং মুদ্রার সাহায্য নিয়েছি। ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় গুপ্তচরের ভূমিকা মূল্যায়ন করতে গিয়ে আমি কখনো কল্পনা বা প্রচলিত জনশ্রুতিকে প্রশ্রয় দিইনি। ১৯৮৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি Espionage in Ancient India নামক গবেষণা পত্র দাখিল করে পি এইচ ডি ডিগ্রি লাভ করি।
১৯৯০ সালে আমার কাকা সাংবাদিক ফণীভূষণ চক্রবর্তী এবং প্রকাশক সুশীল মুখার্জীর প্রচেষ্টায় Espionage in Ancient India গ্রন্থটি মিনার্ভা প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়।
২০০৭ সালে অবভাস পত্রিকায় Espionage in Ancient India-র সংক্ষিপ্ত বঙ্গানুবাদ প্রবন্ধাকারে প্রকাশিত হয়। পার্থ চক্রবর্তী অবভাসের পক্ষ থেকে আরও কিছু তথ্য দিয়ে বিষয়টি গ্রন্থাকারে প্রকাশের ইচ্ছা জানান। তার ফলে আমি সুলতানি ও মুঘল যুগ সময়কালের শাসনব্যবস্থায় গুপ্তচরের ভূমিকা সংযোজন করি। সুলতান ও মুঘল সম্রাটগণ শাসনব্যবস্থার সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন। অনেক তথ্য নষ্ট হয়ে গেলেও বিভিন্ন জাতীয় সংগ্রহশালায় এই সব রেকর্ড সংরক্ষিত আছে। এসব তথ্য নির্ভরযোগ্য।- গায়ত্রী চক্রবর্তী
এই বইতে লেখক ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় বিভিন্ন সময়েয় গুপ্তচরবৃত্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা উপরোক্ত মুল্যবান বই- 'গুপ্তচরবৃত্তি প্রাচীন ভারত ও মধ্যযুগ- গায়ত্রী চক্রবর্তী' বই-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment