যদি রাধা না হ'ত- ডঃ দীপক চন্দ্র বাংলা বই
ডিজিটাল বইয়ের নাম- যদি রাধা না হ'ত
লেখক- ডঃ দীপক চন্দ্র
বইয়ের ধরন- ধর্ম সম্পর্কিত উপন্যাস
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২১২
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১১এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
দৃষ্টিকোন-
“শ্রীকৃষ্ণ পুরুষোত্তম”-এর পাঠক-পাঠিকাদের অনেক কালের একটা চাহিদা ও অভাব পূরণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রকাশিত হল : “যদি রাধা না হ'ত।”
‘শ্রীকৃষ্ণ পুরুষোত্তম’ শ্রীকৃষ্ণের জীবন বৃত্তান্তের একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক কাহিনী। মহাভারত, হরিবংশ, বিষ্ণুপুরাণ, শ্রীমদ্ভাগবতের কাহিনী ছে'কে শ্রীকৃষ্ণকে বার করেছি। এই জীবন বৃত্তের ভেতর শ্রীরাধা কোথাও নেই। তাই শ্রীরাধার কালজয়ী স্বর্গীয় প্রেমকে সত্যের খাতিরে উপরোক্ত উপন্যাসের আয়তরেখায় ধরাতে পারিনি।
প্রকৃতপক্ষে পূরাণে রাধা এসেছে কৃষ্ণের অনেক পরে। ইতিহাস বড় নির্মম! যুগ-যুগান্তরের সংস্কার আর বিশ্বাস ভাঙতে এবং প্রকৃত সত্য প্রকাশ করতে বলা প্রয়োজন, শ্রীকৃষ্ণের তিরোধানের বহুবছর পর রাধাকে পেলাম। শ্রীমদ্ভাগবতের গোপী প্রেমের সঙ্গে মিশে রাধা কবি মানসী হয়ে উঠল ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে। রাধা মাতা নয়, কন্যা নয়, বধু নয়, পরাণবঁধু—শ্রীকৃষ্ণের হলাদিনী শক্তি। উৎস থেকে মাোহনার দিকে গেলে দেখতে পাই, পাণ্ডব বংশের অভিমুন্যর পুত্র পরীক্ষিত রাধার স্বামী আয়ান হয়ে জন্মান। তাহলে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের বহুবর্ষ পরে এবং শ্রীকৃষ্ণের তিরোধানের পরে কালজয়ী অমর প্রেম কথার অনন্যা নায়িকা শ্রীরাধা এসেছে মানুষের কল্পনায়। কিন্তু কি করে যে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে তাকে যুক্ত করা হল এটাই পরমাশ্চর্য! সেই পরমাশ্চর্যের আর এক বিস্ময় হল শ্রীরাধা ; বয়সে আবার কৃষ্ণ অপেক্ষা বড়। অর্থাৎ রাম না হতে যেমন রামায়ণ তেমনি কৃষ্ণ না হতে রাধা। বাস্তব ঘটনার ঠিক বিপরীত। তাই আয়ান সম্পর্কে এই তথ্যটি ত্যাগ করতে হয়েছে। আয়ানকে আবার পুরাণের এক শাপগ্রস্ত ঋষি বলা হয়েছে। এই উপাখ্যানটি গ্রহণ করলে রাধা কৃষ্ণের চিরন্তন প্রণয় কাহিনী একটা বিশ্বাসযোগ্য গল্প হয়ে ওঠে। আলোচ্য উপন্যাসে আমি উক্ত উপাখ্যানটিই অবলম্বন করেছি।
পদাবলী সাহিত্যে রাধা-কৃষ্ণের প্রণয়ে দাহ, জ্বালা যন্ত্রণা, দুঃখ, উৎকর্ণ উৎকণ্ঠা, ভয়, নিন্দা সব কিছু, মানব-মানবীর রক্তমাংসের প্রেমের এক বাস্তবঘন রূপ আকাঁ হয়েছে। তাই আত্মদানের সংকীণ গণ্ডী অতিক্রম করতে পারেনি। এই সংকীর্ণতা রাধা-কৃষ্ণের প্রেমে ভক্তির নামে কদর্য দেহবন্ধ প্রেমের এক নির্লজ রুচিবিকার আমদানি করেছে। বিংশ শতাব্দীর শেষ পাদে পৃথিবী এবং জীবন বোধ বদলে যাচ্ছে দ্রুত। সেই পরিবর্তিত জীবনবোধের সঙ্গে অন্বিত করে রাধা কৃষ্ণের কালজয়ী প্রেমের বংশীধ্বনি করেছি। বংশীধনি কৃষ্ণ প্রেমের সজীব প্রতীক। বাঁশীর সুরে রাধা তাই আকুল হয়। ভেদজ্ঞান লপ্ত হয়। সংসার বন্ধন তুচ্ছ হয়ে যায়। রাধার নিদ্রিত সত্তার ঘুম ভাঙে। আত্মার ভেতর, সমস্ত অনভূতি ও উপলব্ধির ভেতর খুজল সে তার কৃষ্ণকে। এই অন্বেষণের সুত্র ধরে বর্তমান থেকে অতীতে, অতীত থেকে বর্তমানের ভেতর নিরন্তর পরিভ্রমণ করেছে। আর সেই সূত্রেই তার আত্ম-অম্বেষণ সম্পূর্ণ হয়েছে।
রাধার পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে কার্যত কোন বই নেই বললেই হয়; যা পেয়েছি তাতে বিকৃত কাম ক্ষুধার ফাঁদে বন্দী রাধা-কৃষ্ণ। যে কৃষ্ণ ভারতীয় জীবনের আদর্শ, যিনি মহান, আদর্শবান, শ্রেষ্ঠ বীর, জণগণমন অধিনায়ক, যাঁর ছত্রছায়ায় গোটা ভারতবর্ষের মানুষ এসে দাঁড়িয়েছে, যিনি পুরুষোত্তম, ভীষ্ম যাঁকে শ্রেষ্ঠ পুরুষের অর্ঘ্য দিয়েছে সেই মহামানব কখনও চরিত্রহীন, লম্পট, কামুক হয়? না, হতে পারে? যদি রাধা না হ'ত' উপন্যাসে আমি কৃষ্ণ চরিত্রের এই কলংক স্থালন করেছি। গোপীদের বস্র হরণ, নৌকায় রাধিকার শ্লীলতাহানির মত আজগুবি গল্প আমি অন্য ভাবে বিচার করেছি। জীবাত্মা-পরমাত্মার দার্শনিক ব্যাখ্যা দিয়ে যাঁরা ঐ ঘটনাগুলোকে টিঁকিয়ে রাখার পক্ষপাতী আমি তাঁদের দলে নই। স্থুল চোখে ঘটনাগুলো কৃষ্ণ চরিত্রের গৌরব মর্যাদা কিছুমাত্র বাড়ায় না আবার কোন সত্যকে প্রকাশ করে না। তাই মানুষের শুভবুদ্ধি এবং তৎকালীন দেশ-কালের রূপরেখায় তাকে বিধৃত করেছি। রাধা-কৃষ্ণর লৌকিক উপাখ্যানের জনপ্রিয়তা আমাদের ধ্যান-ধারণা আছন্ন করে আছে। এই উপন্যাস তাদের সে প্রত্যাশা পূরণ করবে না। কিন্তু তার জটিল মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্বে রাধা চিত্ত আবর্তিত হয়েছে।
রাধার মানবিক প্রেমের স্বগীয় দীপ্তি সঞ্চার করতে আমার উপন্যাসে স্বামী আয়ানের অবদান খুব বেশী। অভিশপ্ত ঋষি পরজন্মে আয়ান হয়ে জন্মালে তার ভেতর ঋষিসুলভ ত্যাগ, সংযম, সহিষ্ণুতা ছিল। আমার মনে হয়েছে লৌকিক কাহিনীতে আয়ানের এই মহানুভবতা উদারতা এবং মহত্বকে ক্লীবরপে দেখানো হয়েছে। আয়ান সম্পর্কে এই ধারণা ও বিশ্বাসের মুলে আমি কুঠারাঘাত করেছি। তাইত রাধার যেটকু আত্মযন্ত্রণা জ্বালা হাহাকার সে'ত আয়ানের জন্যেই। আয়ানের নিঃস্বার্থ মহান প্রেম, নীরব আত্মদানের মহিমা রাধা ও কৃষ্ণ প্রেমকে ভরন্ত কলসের মত ভরিয়ে তুলেছে। মোটামুটিভাবে, রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের যে আধ্যাত্মিক দিক ও দার্শনিক দিক আছে তাকে গ্রন্থের কলেবরে অটুট রাখতে চেষ্টা করেছি। প্রচেষ্টা সফল হল কতখানি তার বিচার করবেন পাঠক।
গ্রন্থের কলেবরে প্রেমের অনির্বচনীয় রুপকে ফুটিয়ে তুলবার জন্যে জয়দেব থেকে রবীন্দ্রনাথের কবিতা যত্রতত্র ব্যবহার করেছি। সংলাপকে অর্থবহ করতে কবিতার শব্দে কখনও কখনও পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছি, তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।- দীপক চন্দ্র
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা ধর্ম সম্পর্কিত উপন্যাস - 'যদি রাধা না হ'ত- ডঃ দীপক চন্দ্র' বইটির পিডিএফ সংগ্রহ করিবেন।
যদি বইটির পিডিএফ টি পড়ে আপনাদের ভালো লাগলে আপনারা এই বইটির হার্ডকপি এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন আমাজন থেকে।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- যদি রাধা না হ'ত
লেখক- ডঃ দীপক চন্দ্র
বইয়ের ধরন- ধর্ম সম্পর্কিত উপন্যাস
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২১২
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১১এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
দৃষ্টিকোন-
“শ্রীকৃষ্ণ পুরুষোত্তম”-এর পাঠক-পাঠিকাদের অনেক কালের একটা চাহিদা ও অভাব পূরণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রকাশিত হল : “যদি রাধা না হ'ত।”
‘শ্রীকৃষ্ণ পুরুষোত্তম’ শ্রীকৃষ্ণের জীবন বৃত্তান্তের একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক কাহিনী। মহাভারত, হরিবংশ, বিষ্ণুপুরাণ, শ্রীমদ্ভাগবতের কাহিনী ছে'কে শ্রীকৃষ্ণকে বার করেছি। এই জীবন বৃত্তের ভেতর শ্রীরাধা কোথাও নেই। তাই শ্রীরাধার কালজয়ী স্বর্গীয় প্রেমকে সত্যের খাতিরে উপরোক্ত উপন্যাসের আয়তরেখায় ধরাতে পারিনি।
প্রকৃতপক্ষে পূরাণে রাধা এসেছে কৃষ্ণের অনেক পরে। ইতিহাস বড় নির্মম! যুগ-যুগান্তরের সংস্কার আর বিশ্বাস ভাঙতে এবং প্রকৃত সত্য প্রকাশ করতে বলা প্রয়োজন, শ্রীকৃষ্ণের তিরোধানের বহুবছর পর রাধাকে পেলাম। শ্রীমদ্ভাগবতের গোপী প্রেমের সঙ্গে মিশে রাধা কবি মানসী হয়ে উঠল ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে। রাধা মাতা নয়, কন্যা নয়, বধু নয়, পরাণবঁধু—শ্রীকৃষ্ণের হলাদিনী শক্তি। উৎস থেকে মাোহনার দিকে গেলে দেখতে পাই, পাণ্ডব বংশের অভিমুন্যর পুত্র পরীক্ষিত রাধার স্বামী আয়ান হয়ে জন্মান। তাহলে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের বহুবর্ষ পরে এবং শ্রীকৃষ্ণের তিরোধানের পরে কালজয়ী অমর প্রেম কথার অনন্যা নায়িকা শ্রীরাধা এসেছে মানুষের কল্পনায়। কিন্তু কি করে যে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে তাকে যুক্ত করা হল এটাই পরমাশ্চর্য! সেই পরমাশ্চর্যের আর এক বিস্ময় হল শ্রীরাধা ; বয়সে আবার কৃষ্ণ অপেক্ষা বড়। অর্থাৎ রাম না হতে যেমন রামায়ণ তেমনি কৃষ্ণ না হতে রাধা। বাস্তব ঘটনার ঠিক বিপরীত। তাই আয়ান সম্পর্কে এই তথ্যটি ত্যাগ করতে হয়েছে। আয়ানকে আবার পুরাণের এক শাপগ্রস্ত ঋষি বলা হয়েছে। এই উপাখ্যানটি গ্রহণ করলে রাধা কৃষ্ণের চিরন্তন প্রণয় কাহিনী একটা বিশ্বাসযোগ্য গল্প হয়ে ওঠে। আলোচ্য উপন্যাসে আমি উক্ত উপাখ্যানটিই অবলম্বন করেছি।
পদাবলী সাহিত্যে রাধা-কৃষ্ণের প্রণয়ে দাহ, জ্বালা যন্ত্রণা, দুঃখ, উৎকর্ণ উৎকণ্ঠা, ভয়, নিন্দা সব কিছু, মানব-মানবীর রক্তমাংসের প্রেমের এক বাস্তবঘন রূপ আকাঁ হয়েছে। তাই আত্মদানের সংকীণ গণ্ডী অতিক্রম করতে পারেনি। এই সংকীর্ণতা রাধা-কৃষ্ণের প্রেমে ভক্তির নামে কদর্য দেহবন্ধ প্রেমের এক নির্লজ রুচিবিকার আমদানি করেছে। বিংশ শতাব্দীর শেষ পাদে পৃথিবী এবং জীবন বোধ বদলে যাচ্ছে দ্রুত। সেই পরিবর্তিত জীবনবোধের সঙ্গে অন্বিত করে রাধা কৃষ্ণের কালজয়ী প্রেমের বংশীধ্বনি করেছি। বংশীধনি কৃষ্ণ প্রেমের সজীব প্রতীক। বাঁশীর সুরে রাধা তাই আকুল হয়। ভেদজ্ঞান লপ্ত হয়। সংসার বন্ধন তুচ্ছ হয়ে যায়। রাধার নিদ্রিত সত্তার ঘুম ভাঙে। আত্মার ভেতর, সমস্ত অনভূতি ও উপলব্ধির ভেতর খুজল সে তার কৃষ্ণকে। এই অন্বেষণের সুত্র ধরে বর্তমান থেকে অতীতে, অতীত থেকে বর্তমানের ভেতর নিরন্তর পরিভ্রমণ করেছে। আর সেই সূত্রেই তার আত্ম-অম্বেষণ সম্পূর্ণ হয়েছে।
রাধার পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে কার্যত কোন বই নেই বললেই হয়; যা পেয়েছি তাতে বিকৃত কাম ক্ষুধার ফাঁদে বন্দী রাধা-কৃষ্ণ। যে কৃষ্ণ ভারতীয় জীবনের আদর্শ, যিনি মহান, আদর্শবান, শ্রেষ্ঠ বীর, জণগণমন অধিনায়ক, যাঁর ছত্রছায়ায় গোটা ভারতবর্ষের মানুষ এসে দাঁড়িয়েছে, যিনি পুরুষোত্তম, ভীষ্ম যাঁকে শ্রেষ্ঠ পুরুষের অর্ঘ্য দিয়েছে সেই মহামানব কখনও চরিত্রহীন, লম্পট, কামুক হয়? না, হতে পারে? যদি রাধা না হ'ত' উপন্যাসে আমি কৃষ্ণ চরিত্রের এই কলংক স্থালন করেছি। গোপীদের বস্র হরণ, নৌকায় রাধিকার শ্লীলতাহানির মত আজগুবি গল্প আমি অন্য ভাবে বিচার করেছি। জীবাত্মা-পরমাত্মার দার্শনিক ব্যাখ্যা দিয়ে যাঁরা ঐ ঘটনাগুলোকে টিঁকিয়ে রাখার পক্ষপাতী আমি তাঁদের দলে নই। স্থুল চোখে ঘটনাগুলো কৃষ্ণ চরিত্রের গৌরব মর্যাদা কিছুমাত্র বাড়ায় না আবার কোন সত্যকে প্রকাশ করে না। তাই মানুষের শুভবুদ্ধি এবং তৎকালীন দেশ-কালের রূপরেখায় তাকে বিধৃত করেছি। রাধা-কৃষ্ণর লৌকিক উপাখ্যানের জনপ্রিয়তা আমাদের ধ্যান-ধারণা আছন্ন করে আছে। এই উপন্যাস তাদের সে প্রত্যাশা পূরণ করবে না। কিন্তু তার জটিল মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্বে রাধা চিত্ত আবর্তিত হয়েছে।
রাধার মানবিক প্রেমের স্বগীয় দীপ্তি সঞ্চার করতে আমার উপন্যাসে স্বামী আয়ানের অবদান খুব বেশী। অভিশপ্ত ঋষি পরজন্মে আয়ান হয়ে জন্মালে তার ভেতর ঋষিসুলভ ত্যাগ, সংযম, সহিষ্ণুতা ছিল। আমার মনে হয়েছে লৌকিক কাহিনীতে আয়ানের এই মহানুভবতা উদারতা এবং মহত্বকে ক্লীবরপে দেখানো হয়েছে। আয়ান সম্পর্কে এই ধারণা ও বিশ্বাসের মুলে আমি কুঠারাঘাত করেছি। তাইত রাধার যেটকু আত্মযন্ত্রণা জ্বালা হাহাকার সে'ত আয়ানের জন্যেই। আয়ানের নিঃস্বার্থ মহান প্রেম, নীরব আত্মদানের মহিমা রাধা ও কৃষ্ণ প্রেমকে ভরন্ত কলসের মত ভরিয়ে তুলেছে। মোটামুটিভাবে, রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের যে আধ্যাত্মিক দিক ও দার্শনিক দিক আছে তাকে গ্রন্থের কলেবরে অটুট রাখতে চেষ্টা করেছি। প্রচেষ্টা সফল হল কতখানি তার বিচার করবেন পাঠক।
গ্রন্থের কলেবরে প্রেমের অনির্বচনীয় রুপকে ফুটিয়ে তুলবার জন্যে জয়দেব থেকে রবীন্দ্রনাথের কবিতা যত্রতত্র ব্যবহার করেছি। সংলাপকে অর্থবহ করতে কবিতার শব্দে কখনও কখনও পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছি, তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।- দীপক চন্দ্র
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা ধর্ম সম্পর্কিত উপন্যাস - 'যদি রাধা না হ'ত- ডঃ দীপক চন্দ্র' বইটির পিডিএফ সংগ্রহ করিবেন।
যদি বইটির পিডিএফ টি পড়ে আপনাদের ভালো লাগলে আপনারা এই বইটির হার্ডকপি এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন আমাজন থেকে।
No comments:
Post a Comment