উমরাও জান- মির্জা মুহাম্মদ হাদি রুসওয়া বাংলা অনুবাদ উপন্যাস
ডিজিটাল বইয়ের নাম- উমরাও জান
লেখক- মির্জা মুহাম্মদ হাদি রুসওয়া
বাংলা অনুবাদ- আনোয়ার হোসাইন মঞ্জু
বইয়ের ধরণ- অনুবাদ উপন্যাস
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৮৫
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
উমরাও জান আদা ও তার স্রষ্টা। মির্জা মোহাম্মদ রুসওয়া
“উমরাও জান আদা’ উপন্যাসটির ভূমিকায় মির্জা মোহাম্মদ হাদি রুসওয়া বর্ণনা দিয়েছেন যে তিনি কিভাবে লক্ষ্ণৌর বাঈজির কাহিনী লিখতে উদ্বুদ্ধ হলেন;
প্রায় দশ বছর আগে আমার এক বন্ধু মুনশী আহমদ হোসাইন, যিনি দিল্লির কাছাকাছি কোথায়ও থাকতেন, তিনি লক্ষ্ণৌতে আসেন এবং পতিতা পল্লী চকে এক বাড়ির দোতলায় কক্ষ ভাড়া নেন। সেখানে একদল বন্ধু মিলিত হতো এবং মধুর কয়েকটি ঘন্টা কাটাতো কবিতা আবৃত্তি ও কবিতার ওপর আলোচনা করে।
মুনশী আহমদ হোসাইনের পাশের ঘরটিই ছিল এক বাঈজি’র যার আচার পদ্ধতি তুরি পেশার অন্যান্য মহিলাদের চাইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের ছিল। তাকে কখনো বারান্দায় দেখা যেত না এবং কোন দর্শনার্থী তার কাছে গেছে এমন কখনো জানা। যায়নি। তার ঘরের জানালাগুলো ভারী পর্দা দিয়ে ঢাকা ছিল এবং রাস্তামুখী দরজা সবসময় বন্ধ থাকতো। তার ভৃত্যরা বাড়িতে প্রবেশ করতে ব্যবহার করতো পিছনের দরজা। মুনশী আহমদ হোসাইনের কক্ষ থেকে বাঈজির ঘরে যাওয়ার একটি পথ থাকলেও সেটি তা লৌহ দন্ড দিয়ে স্থায়ীভাবে অবরুদ্ধ ছিল। কখনো কখনো আমরা রাতের বেলায় এক মহিলাকে গান গাইতে শুনতাম এবং সেটিই ছিল সেই ঘরে জীবিত কারো অস্তিত্বের আভাস।
এক সন্ধ্যায় আমরা বরাবরের মতো গজল চর্চা করছিলাম। আমি কয়েকটি লাইন আবৃতি করার পর পাশের ঘর থেকে কোমল কণ্ঠে প্রশংসা ভেসে এলো, 'ওয়াহ। ওয়াহ!' এতে আমি কৌতুহলী হয়ে উঠলাম । মুনশী সাহেব জোরে বলে উঠলেন, "এভাবে কোন কবির প্রশংসা করা শোভন নয়। আপনি যদি কবিতার ভক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উপস্থিতি দিয়ে আমাদের ধন্য করছেন না কেন?" কেউ কোন উত্তর দিল না। আমরা আমাদের মুশায়রায় ফিরে গেলাম।
কিছুক্ষণ পরই একজন পরিচারিকা ভিতরে এসে জানতে চাইলো, “আপনাদের মধ্যে মির্জা রুসওয়া কে?” আমার বন্ধুরা আমাকে দেখিয়ে দিল। “আপনি কি মেহেরবানী করে আমার মালকিনের সাথে একটু কথা বলে তাকে কৃতার্থ করবেন?" সে প্রশ্ন করলো।
"আমি কি জানতে পারি তোমার মালকিন কে?"
"আমাকে মাফ করবেন জনাব, তার পরিচয় প্রকাশের অনুমতি দেয়া হয়নি। আমাকে আমার বন্ধুরা আমাকে খোঁচা দিতে লাগলো, কোন না কোন সময়ে তোমার সাথে তার ভালো পরিচয়ে হয়েছে, তা না হলে তিনি কেন এভাবে তোমাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন?"
আমি তখনো মাথা চুলকাচ্ছিলাম মহিলা সম্পর্কে কিছু আন্দাজ করতে পারি কিনা, পরিচারিকা বলে উঠলো, “জনাব, আমার মালকিন আপনাকে ভালো করেই চেনেন, সে জন্যেই তিনি চান যে আপনি তার সাথে সাক্ষাৎ করুন।"
পরিচারিকাকে অনুসরণ করে পাশের ঘরে যাওয়া ছাড়া আমার আর কোন বিকল্প ছিল না।
দেখা গেল ওই মহিলাটিই উমরাও জান, যাকে রুসওয়া বহু বছর আগে চিনতেন। প্রাথমিক শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর রুসওয়া উমরাও জানকে পীড়াপীড়ি করে রাজী করালেন মুনশী আহমদ হোসাইনের ঘরের বারান্দায় চিকের দিকের আড়ালে এসে বসতে। এ ঘটনাকে রুসওয়া বর্ণনা করেছেন এভাবে;
"গ্রীষ্মের চন্দ্রালোকিত এক রাত। মুনশী সাহেবের বারান্দা পানি সিঞ্চিত জায়গাটিকে শীতল করার জন্যে। মেঝেতে গালিচা বিছানো এবং তার ওপর সাদী চাদর। কুমোরদের তৈরি নতুন সোরাহি থেকে মাটি ও নির্মল পানির সুবাস ভেসে আসছে। সোরহিগুলো কার্ণিশে সজ্জিানো। সুগন্ধি পান রাখা হয়েছে রিকাবে। হুক্কায় জড়ানো ফুলের মালা এবং তামাকের ধোঁয়ায় আগরবাতির গন্ধ। চাঁদের আলো ছাড়াও আলো ছড়াচ্ছে কাচের আঁধারে ঢাকা কেঁপে কেঁপে উঠা মোমবাতির শিখা। মোমবাতি রাখা হলো কবির সামনে, অর্থাৎ তার আবৃত্তির পালা।
মুশায়রায় উমরাও জান একটি কবিতা আবৃতি করলো, যার শেষ লাইনগুলো ছিলো:
উমরাও জান এবং সুলতান সাহিব নাম দুটি ইতিপূর্বে অসম্পূর্ণ এক উপন্যাস ' আফসহাই রাজ' এ প্রকাশ পেয়েছিল। রুসওয়া নাম দুটি উদ্ধার করেছিলেন তার পরিত্যক্ত কাজ থেকে এবং নতুন উপনাসে তাদের চরিত্রে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসেন। 'আফসহাই রাজ’ এর উমরাও জানের গায়ের রং কালো, দীর্ঘাকৃতির, মুখে বসন্তের দাগ এবং চেহারায় কিছুটা ছিনালীপনার ছাপ, এছাড়া উল্লেখ ছিল যে, তার নাচ সহনীয় পর্যায়ের হলেও গায়িকা হিসেবে একেবারেই বাজে। এই উপন্যাসের উমরাও জনি আদা মোটামুটি আকর্ষণীয় হলেও সংস্কৃতিবান মহিলা, আচরণ মার্জিত এবং সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে খ্যাতিমান। এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে রুসওয়া তার ব্যক্তি ও কষ্ঠে বিমুগ্ধ হয়েছিলেন । উপন্যাসের ভূমিকায় একটি উদ্ধৃতি রয়েছে যাতে তার নায়িকা দাবি করেছে যে গ্রন্থটিতে তার চরিত্রের সত্যিকার ও বিশ্বস্ত প্রতিফলন যাতে ঘটে।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
অথবা যদি হার্ডকপি সংগ্রহ করিতে চান।
প্রিয় পাঠকগণ, প্রেমে আর ট্র্যাজেডি মিশ্রিত এই অসাধারণ উপন্যাস 'উমরাও জান' এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- উমরাও জান
লেখক- মির্জা মুহাম্মদ হাদি রুসওয়া
বাংলা অনুবাদ- আনোয়ার হোসাইন মঞ্জু
বইয়ের ধরণ- অনুবাদ উপন্যাস
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৮৫
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
উমরাও জান আদা ও তার স্রষ্টা। মির্জা মোহাম্মদ রুসওয়া
“উমরাও জান আদা’ উপন্যাসটির ভূমিকায় মির্জা মোহাম্মদ হাদি রুসওয়া বর্ণনা দিয়েছেন যে তিনি কিভাবে লক্ষ্ণৌর বাঈজির কাহিনী লিখতে উদ্বুদ্ধ হলেন;
প্রায় দশ বছর আগে আমার এক বন্ধু মুনশী আহমদ হোসাইন, যিনি দিল্লির কাছাকাছি কোথায়ও থাকতেন, তিনি লক্ষ্ণৌতে আসেন এবং পতিতা পল্লী চকে এক বাড়ির দোতলায় কক্ষ ভাড়া নেন। সেখানে একদল বন্ধু মিলিত হতো এবং মধুর কয়েকটি ঘন্টা কাটাতো কবিতা আবৃত্তি ও কবিতার ওপর আলোচনা করে।
মুনশী আহমদ হোসাইনের পাশের ঘরটিই ছিল এক বাঈজি’র যার আচার পদ্ধতি তুরি পেশার অন্যান্য মহিলাদের চাইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের ছিল। তাকে কখনো বারান্দায় দেখা যেত না এবং কোন দর্শনার্থী তার কাছে গেছে এমন কখনো জানা। যায়নি। তার ঘরের জানালাগুলো ভারী পর্দা দিয়ে ঢাকা ছিল এবং রাস্তামুখী দরজা সবসময় বন্ধ থাকতো। তার ভৃত্যরা বাড়িতে প্রবেশ করতে ব্যবহার করতো পিছনের দরজা। মুনশী আহমদ হোসাইনের কক্ষ থেকে বাঈজির ঘরে যাওয়ার একটি পথ থাকলেও সেটি তা লৌহ দন্ড দিয়ে স্থায়ীভাবে অবরুদ্ধ ছিল। কখনো কখনো আমরা রাতের বেলায় এক মহিলাকে গান গাইতে শুনতাম এবং সেটিই ছিল সেই ঘরে জীবিত কারো অস্তিত্বের আভাস।
এক সন্ধ্যায় আমরা বরাবরের মতো গজল চর্চা করছিলাম। আমি কয়েকটি লাইন আবৃতি করার পর পাশের ঘর থেকে কোমল কণ্ঠে প্রশংসা ভেসে এলো, 'ওয়াহ। ওয়াহ!' এতে আমি কৌতুহলী হয়ে উঠলাম । মুনশী সাহেব জোরে বলে উঠলেন, "এভাবে কোন কবির প্রশংসা করা শোভন নয়। আপনি যদি কবিতার ভক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উপস্থিতি দিয়ে আমাদের ধন্য করছেন না কেন?" কেউ কোন উত্তর দিল না। আমরা আমাদের মুশায়রায় ফিরে গেলাম।
কিছুক্ষণ পরই একজন পরিচারিকা ভিতরে এসে জানতে চাইলো, “আপনাদের মধ্যে মির্জা রুসওয়া কে?” আমার বন্ধুরা আমাকে দেখিয়ে দিল। “আপনি কি মেহেরবানী করে আমার মালকিনের সাথে একটু কথা বলে তাকে কৃতার্থ করবেন?" সে প্রশ্ন করলো।
"আমি কি জানতে পারি তোমার মালকিন কে?"
"আমাকে মাফ করবেন জনাব, তার পরিচয় প্রকাশের অনুমতি দেয়া হয়নি। আমাকে আমার বন্ধুরা আমাকে খোঁচা দিতে লাগলো, কোন না কোন সময়ে তোমার সাথে তার ভালো পরিচয়ে হয়েছে, তা না হলে তিনি কেন এভাবে তোমাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন?"
আমি তখনো মাথা চুলকাচ্ছিলাম মহিলা সম্পর্কে কিছু আন্দাজ করতে পারি কিনা, পরিচারিকা বলে উঠলো, “জনাব, আমার মালকিন আপনাকে ভালো করেই চেনেন, সে জন্যেই তিনি চান যে আপনি তার সাথে সাক্ষাৎ করুন।"
পরিচারিকাকে অনুসরণ করে পাশের ঘরে যাওয়া ছাড়া আমার আর কোন বিকল্প ছিল না।
দেখা গেল ওই মহিলাটিই উমরাও জান, যাকে রুসওয়া বহু বছর আগে চিনতেন। প্রাথমিক শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর রুসওয়া উমরাও জানকে পীড়াপীড়ি করে রাজী করালেন মুনশী আহমদ হোসাইনের ঘরের বারান্দায় চিকের দিকের আড়ালে এসে বসতে। এ ঘটনাকে রুসওয়া বর্ণনা করেছেন এভাবে;
"গ্রীষ্মের চন্দ্রালোকিত এক রাত। মুনশী সাহেবের বারান্দা পানি সিঞ্চিত জায়গাটিকে শীতল করার জন্যে। মেঝেতে গালিচা বিছানো এবং তার ওপর সাদী চাদর। কুমোরদের তৈরি নতুন সোরাহি থেকে মাটি ও নির্মল পানির সুবাস ভেসে আসছে। সোরহিগুলো কার্ণিশে সজ্জিানো। সুগন্ধি পান রাখা হয়েছে রিকাবে। হুক্কায় জড়ানো ফুলের মালা এবং তামাকের ধোঁয়ায় আগরবাতির গন্ধ। চাঁদের আলো ছাড়াও আলো ছড়াচ্ছে কাচের আঁধারে ঢাকা কেঁপে কেঁপে উঠা মোমবাতির শিখা। মোমবাতি রাখা হলো কবির সামনে, অর্থাৎ তার আবৃত্তির পালা।
মুশায়রায় উমরাও জান একটি কবিতা আবৃতি করলো, যার শেষ লাইনগুলো ছিলো:
কে শুনবে আমার বেদনার্ত হৃদয়ের কাহিনী
আমি বিক্ষিপ্ত ঘুরেছি বিশাল এই পৃথিবীতে
আরো অনেক কিছু শেখার আছে আমার।
লাইনগুলো রুসওয়াকে উদ্বুদ্ধ করলো উমরাও জানকে তার জীবন কাহিনী তাকে বলার জন্যে। 'উমরাও জান কাহিনী বললো বেশ কিছু বৈঠকে, যা পরবর্তীতে গ্রন্থাকারে। প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিলেন রুসওয়া, অবশ্য উমরাও জানকে দেখিয়ে নেয়ার পর।আমি বিক্ষিপ্ত ঘুরেছি বিশাল এই পৃথিবীতে
আরো অনেক কিছু শেখার আছে আমার।
উমরাও জান এবং সুলতান সাহিব নাম দুটি ইতিপূর্বে অসম্পূর্ণ এক উপন্যাস ' আফসহাই রাজ' এ প্রকাশ পেয়েছিল। রুসওয়া নাম দুটি উদ্ধার করেছিলেন তার পরিত্যক্ত কাজ থেকে এবং নতুন উপনাসে তাদের চরিত্রে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসেন। 'আফসহাই রাজ’ এর উমরাও জানের গায়ের রং কালো, দীর্ঘাকৃতির, মুখে বসন্তের দাগ এবং চেহারায় কিছুটা ছিনালীপনার ছাপ, এছাড়া উল্লেখ ছিল যে, তার নাচ সহনীয় পর্যায়ের হলেও গায়িকা হিসেবে একেবারেই বাজে। এই উপন্যাসের উমরাও জনি আদা মোটামুটি আকর্ষণীয় হলেও সংস্কৃতিবান মহিলা, আচরণ মার্জিত এবং সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে খ্যাতিমান। এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে রুসওয়া তার ব্যক্তি ও কষ্ঠে বিমুগ্ধ হয়েছিলেন । উপন্যাসের ভূমিকায় একটি উদ্ধৃতি রয়েছে যাতে তার নায়িকা দাবি করেছে যে গ্রন্থটিতে তার চরিত্রের সত্যিকার ও বিশ্বস্ত প্রতিফলন যাতে ঘটে।
“আমার যুক্তি লুণ্ঠন করে সে এখন
হাসছে এবং বলছে, আমার চিত্র যাতে
আমার মুখের মতোই সুন্দর হয়।"
যে চরিত্রের অস্তিত্ব নেই মির্জা রুসওয়া তা সৃষ্টি করায় বিশ্বাসী ছিলেন না। 'আফসহাই রাজ' এর ভূমিকায় তিনি লিখেছেন; এই পৃথিবীতে সবচেয়ে লাভজনক ও গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার বিষয়বস্তু হচ্ছে মানুষের জীবনে যা ঘটে সেগুলো; শুধু বাইরের আচরণগত দিক নয়, তাদের ভিতরের অনুভূতি ও ভাবনাগুলোও। এসব বিষয় একটি উপন্যাসের মাধ্যমেও ফুটিয়ে তোলা সম্ভব যদি এই চিত্রগুলো বিশ্বস্তাতর সাথে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়। কিছু ব্যক্তির জীবন কাহিনীকে আমাদের উপন্যাসের ভিত্তি হিসেবে নেয়রি চেষ্টার মাধ্যমে আমাদের নিজেদেরকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে সমস্যার মধ্যে ফেলা অনাবশ্যক, যাদের সম্পর্কে আমরা প্রকৃতপক্ষে বিস্তারিত কিছুই জানিনা। আমাদের বন্ধু ও আত্মীয় স্বজনের পরিমন্ডলেই এমন অনেক অভিজ্ঞতা থাকতে পারে যেগুলো সত্যিকার অর্থেই উদ্ভূত ও আকর্ষণীয়। সমস্যা হচ্ছে, আমরা সেসব বিষয়ে মনোযোগ দেই না, কারণ আলেকজাণ্ডার, গজনীর মাহমুদ, অষ্টম হেনরি, রানী অ্যানে, নেপোলিয়ন বোনাপার্টের মতো ব্যক্তিদের নিয়ে লিখিত মোটামোটা ইতিহাস গ্রন্থ ঘাটার মতো সময় আমাদের নেই।" লক্ষ্ণৌর বাঈজি মির্জা রুসওয়ার কল্পনা বা নিজস্ব উদ্ভাবন নয়। সে লক্ষ্ণৌরতে নিজস্ব পেশায় নিয়োজিত ছিল এবং তার জীবন ও প্রেম নিয়ে রুসওয়ার করণীয় কিছু ছিল না।- খুশবন্ত সিংহাসছে এবং বলছে, আমার চিত্র যাতে
আমার মুখের মতোই সুন্দর হয়।"
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
অথবা যদি হার্ডকপি সংগ্রহ করিতে চান।
প্রিয় পাঠকগণ, প্রেমে আর ট্র্যাজেডি মিশ্রিত এই অসাধারণ উপন্যাস 'উমরাও জান' এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment