দান্তে রচনাসমগ্র- প্রাচীন বাংলা অনুবাদ বই
দান্তে রচনাসমগ্র- দান্তে রচনাসমগ্র
ডিজিটাল বইয়ের নাম- বাংলার লৌকিক দেবতা
লেখক- দুরান্তে দেইলি আলিগিয়েরি বা দান্তে
অনুবাদক- সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ
বইয়ের ধরণ- প্রাচীন বাংলা অনুবাদ বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪৮৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৩০এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
মানুষ মৃত্যুর পর কোথায় যায়। নরকপ্রদেশের চব্বিশটি বৃত্ত, সমুদ্রতীরবর্তী আউন্ট পার্গেটারিও বা পরিশুদ্ধিপর্বতের দুটি ধাপ ও সাতটি চত্বর ও সবশেষে ভূস্বর্গলোকবর্তী নয়টি গ্রহন্তর একে একে অতিক্রম করে সত্যি সত্যিই কি ঈশ্বরের সামীপ্য ও সালোকরূপী মোক্ষ লাভ করতে পারবে কোন মানবাত্মা? কোথায় গেলে কেমন করে দেখতে পাওয়া যাবে সেই মৌল গতিচক্রকল্প এক আশ্চর্য শ্বেতগোলাপ যা জাগতিক ও মহাজাগতিক সকল বস্তুকে গতিশীলতা দান করলেও এক অনাদ্যন্ত স্থিতিশীলতায় স্তব্ধ-অনড় হয়ে থাকে নিজে, মৃত্যু ও ও হতাশার মহাশূন্যতায় চিরভাসমান সাক্ষাৎ আশামৃতস্বরূপ মধুনিষ্যন্দী যে গোলাপের দেহগাত্রে পুণ্যাত্ম সাধুপুরুষেরা পাপড়িরূপে শোভা পায় আর যার দিব্য সুবাসে মাতোয়ারা হয়ে আলোকমূর্তিধারী দেবদূতের মধুলুব্ধ ভৃঙ্গারের মত উড়ে বেড়ায়?
এই সব প্রশ্নগুলির সদুত্তর পেতে হলে তিন খণ্ডে বিভক্ত দান্তের 'ডিভাইন কমেডি' পড়তে হবে আর এই সুবিশাল কাব্যগ্রন্থের রস উপলব্ধি করতে হলে যে যুগের আলো হাওয়ায় দান্তে মানুষ, ত্রয়োদশ শতাব্দীর ইতালির সেই যুগকে জানতে হবে।
দান্তে তার অমর মহাকাব্য ‘ডিভাইন কমেডিয়া’ঠিক কখন লিখতে শুরু করেন তা আমরা জানি না। তবে মৃত্যুত্তীর্ণ মানবাত্মার স্বর্ণাভিমুখী তীর্থযাত্রার কল্পিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বিশাল মহাকাব্য রচনার প্রথম বাসনা জাগে দান্তের মনে বিয়াত্রিসের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে। খৃস্টীয় ধর্মচেতনায় বিশ্বাসী দান্তের স্বভাবতই একথা মনে হয় যে বিয়াত্রিসের দেহপিঞ্জর ত্যাগ করে তার অমর আত্মা নিশ্চয় স্বর্গলাভ করেছে এবং স্বর্গে গিয়েও হয়ত তার কথা ভুলতে পারেনি। আর সেই স্বর্গলোকে যেতে পারলে হয়ত তার দেখা পাওয়া যাবে। কিন্তু শুরুতে যাই ভাবুন দান্তে সেই মহাকাব্যের শেষ খণ্ডে সে ভাবনা সব ওলটপালট হয়ে যায়। যে বিয়াত্রিসকে একবার দেখার জন্য এত আকুল হয়ে ওঠেন তিনি, স্বর্গে গিয়ে সেই বিয়াত্রিসের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে এসেও তার হাসির উজ্জ্বলতা যে তার স্থিনিবদ্ধ দৃষ্টির নিবিড়তা দিয়ে সহ্য করতে পারবেন না তিনি তা প্রথমে ভাবতেই পারেননি। ভাবতে পারেননি, পরম আনন্দ ও প্রেমের অমৃতস্বরূপ ঈশ্বরের দ্বারা নিয়ত বিকীর্ণিত পূর্ণজ্যোতির মহাপ্লাবনে স্বর্গাতিবর্তী আকাশমণ্ডলের অনন্ত শূন্যতা পূর্ণতার যে আলো হয়ে ফুটে ওঠে, সে আলোর দুঃসহ তীব্রতায় ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে তার সকাম অনুরাগের বেগবান মেঘমালা, নিঃশেষে উবে যাবে তাঁর অশান্ত বিরহব্যথার প্রধুমিত বাষ্পরাশি। ভাবতে পারেননি দান্তে, তাঁর কান্তাপ্রেমের লীলাপদ্মটি কামনার নদী বেয়ে ভাসতে ভাসতে অবশেষে ঈশ্বরপ্রেমের সেই মহাসমুদ্রে গিয়ে বিলীন হয়ে যাবে।
অনেকের মতে দান্তে তাঁর নির্বাসনের আগেই ‘ডিভাইন কমেডির' অন্তর্গত প্রথম খণ্ড ইনফার্নোর প্রথম সাতটি সৰ্গ রচনা করেন এবং পরিশেষে ১৩১৪ খৃস্টাব্দে এই সুবিশাল মহাকাব্যের প্রথম খণ্ডটি প্রকাশিত হয়। তারপর পরবর্তী দুটি খণ্ড পার্গেটারিও ও প্যারাডিসে রচনাকালে নিঃসীম নিদারুণ দারিদ্রতার মধ্য দিন যাপন করতে হয় দান্তেকে।
বস্তুতঃ দান্তে হচ্ছেন শুধু ইতালির নয়, সারা বিশ্বসাহিত্যের ক্ষেত্রে একমাত্র কবি যিনি মৃত্যুর মাঝে অমৃতের গান গেয়েছেন, দুঃখের সীমাহীন রন্ধ্রহীন অন্ধকারে এক অক্ষয় আশা আর ধর্মবিশ্বাসের অনির্বাণ দীপশিখা জ্বালিয়ে আপন লক্ষ্যের পথে এগিয়ে গেছেন সারাজীবন।
পাঠকগণ, এই বিখ্যাত প্রাচীন কবির - 'দান্তে রচনাসমগ্র' বইটি আপনারা সংগ্রহ করিতে পারিবেন। এই সমগ্রে দান্তের লেখা- 'ডিভাইন কমেডির' তিনটি খন্ড আছে, এছাড়া তাঁর লেখা কবিতার সংগ্রহ আছে।
মূল ভাবধারা অক্ষুন্ন রেখে বাংলায় অনুবাদ করেছেন- সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, প্রাচীন বাংলা অনুবাদ বই 'দান্তে রচনাসমগ্র' এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
দান্তে রচনাসমগ্র- দান্তে রচনাসমগ্র
ডিজিটাল বইয়ের নাম- বাংলার লৌকিক দেবতা
লেখক- দুরান্তে দেইলি আলিগিয়েরি বা দান্তে
অনুবাদক- সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ
বইয়ের ধরণ- প্রাচীন বাংলা অনুবাদ বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪৮৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৩০এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
মানুষ মৃত্যুর পর কোথায় যায়। নরকপ্রদেশের চব্বিশটি বৃত্ত, সমুদ্রতীরবর্তী আউন্ট পার্গেটারিও বা পরিশুদ্ধিপর্বতের দুটি ধাপ ও সাতটি চত্বর ও সবশেষে ভূস্বর্গলোকবর্তী নয়টি গ্রহন্তর একে একে অতিক্রম করে সত্যি সত্যিই কি ঈশ্বরের সামীপ্য ও সালোকরূপী মোক্ষ লাভ করতে পারবে কোন মানবাত্মা? কোথায় গেলে কেমন করে দেখতে পাওয়া যাবে সেই মৌল গতিচক্রকল্প এক আশ্চর্য শ্বেতগোলাপ যা জাগতিক ও মহাজাগতিক সকল বস্তুকে গতিশীলতা দান করলেও এক অনাদ্যন্ত স্থিতিশীলতায় স্তব্ধ-অনড় হয়ে থাকে নিজে, মৃত্যু ও ও হতাশার মহাশূন্যতায় চিরভাসমান সাক্ষাৎ আশামৃতস্বরূপ মধুনিষ্যন্দী যে গোলাপের দেহগাত্রে পুণ্যাত্ম সাধুপুরুষেরা পাপড়িরূপে শোভা পায় আর যার দিব্য সুবাসে মাতোয়ারা হয়ে আলোকমূর্তিধারী দেবদূতের মধুলুব্ধ ভৃঙ্গারের মত উড়ে বেড়ায়?
এই সব প্রশ্নগুলির সদুত্তর পেতে হলে তিন খণ্ডে বিভক্ত দান্তের 'ডিভাইন কমেডি' পড়তে হবে আর এই সুবিশাল কাব্যগ্রন্থের রস উপলব্ধি করতে হলে যে যুগের আলো হাওয়ায় দান্তে মানুষ, ত্রয়োদশ শতাব্দীর ইতালির সেই যুগকে জানতে হবে।
দান্তে তার অমর মহাকাব্য ‘ডিভাইন কমেডিয়া’ঠিক কখন লিখতে শুরু করেন তা আমরা জানি না। তবে মৃত্যুত্তীর্ণ মানবাত্মার স্বর্ণাভিমুখী তীর্থযাত্রার কল্পিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বিশাল মহাকাব্য রচনার প্রথম বাসনা জাগে দান্তের মনে বিয়াত্রিসের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে। খৃস্টীয় ধর্মচেতনায় বিশ্বাসী দান্তের স্বভাবতই একথা মনে হয় যে বিয়াত্রিসের দেহপিঞ্জর ত্যাগ করে তার অমর আত্মা নিশ্চয় স্বর্গলাভ করেছে এবং স্বর্গে গিয়েও হয়ত তার কথা ভুলতে পারেনি। আর সেই স্বর্গলোকে যেতে পারলে হয়ত তার দেখা পাওয়া যাবে। কিন্তু শুরুতে যাই ভাবুন দান্তে সেই মহাকাব্যের শেষ খণ্ডে সে ভাবনা সব ওলটপালট হয়ে যায়। যে বিয়াত্রিসকে একবার দেখার জন্য এত আকুল হয়ে ওঠেন তিনি, স্বর্গে গিয়ে সেই বিয়াত্রিসের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে এসেও তার হাসির উজ্জ্বলতা যে তার স্থিনিবদ্ধ দৃষ্টির নিবিড়তা দিয়ে সহ্য করতে পারবেন না তিনি তা প্রথমে ভাবতেই পারেননি। ভাবতে পারেননি, পরম আনন্দ ও প্রেমের অমৃতস্বরূপ ঈশ্বরের দ্বারা নিয়ত বিকীর্ণিত পূর্ণজ্যোতির মহাপ্লাবনে স্বর্গাতিবর্তী আকাশমণ্ডলের অনন্ত শূন্যতা পূর্ণতার যে আলো হয়ে ফুটে ওঠে, সে আলোর দুঃসহ তীব্রতায় ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে তার সকাম অনুরাগের বেগবান মেঘমালা, নিঃশেষে উবে যাবে তাঁর অশান্ত বিরহব্যথার প্রধুমিত বাষ্পরাশি। ভাবতে পারেননি দান্তে, তাঁর কান্তাপ্রেমের লীলাপদ্মটি কামনার নদী বেয়ে ভাসতে ভাসতে অবশেষে ঈশ্বরপ্রেমের সেই মহাসমুদ্রে গিয়ে বিলীন হয়ে যাবে।
অনেকের মতে দান্তে তাঁর নির্বাসনের আগেই ‘ডিভাইন কমেডির' অন্তর্গত প্রথম খণ্ড ইনফার্নোর প্রথম সাতটি সৰ্গ রচনা করেন এবং পরিশেষে ১৩১৪ খৃস্টাব্দে এই সুবিশাল মহাকাব্যের প্রথম খণ্ডটি প্রকাশিত হয়। তারপর পরবর্তী দুটি খণ্ড পার্গেটারিও ও প্যারাডিসে রচনাকালে নিঃসীম নিদারুণ দারিদ্রতার মধ্য দিন যাপন করতে হয় দান্তেকে।
বস্তুতঃ দান্তে হচ্ছেন শুধু ইতালির নয়, সারা বিশ্বসাহিত্যের ক্ষেত্রে একমাত্র কবি যিনি মৃত্যুর মাঝে অমৃতের গান গেয়েছেন, দুঃখের সীমাহীন রন্ধ্রহীন অন্ধকারে এক অক্ষয় আশা আর ধর্মবিশ্বাসের অনির্বাণ দীপশিখা জ্বালিয়ে আপন লক্ষ্যের পথে এগিয়ে গেছেন সারাজীবন।
পাঠকগণ, এই বিখ্যাত প্রাচীন কবির - 'দান্তে রচনাসমগ্র' বইটি আপনারা সংগ্রহ করিতে পারিবেন। এই সমগ্রে দান্তের লেখা- 'ডিভাইন কমেডির' তিনটি খন্ড আছে, এছাড়া তাঁর লেখা কবিতার সংগ্রহ আছে।
মূল ভাবধারা অক্ষুন্ন রেখে বাংলায় অনুবাদ করেছেন- সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, প্রাচীন বাংলা অনুবাদ বই 'দান্তে রচনাসমগ্র' এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
কিভাবে ডাউনলোড করব বইটা?
ReplyDelete"বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন" এই লেখাগুলির উপর ক্লিক করুন।
ReplyDelete