৫টি রহস্য উপন্যাস - দেবেল দেববর্মা বাংলা রহস্যমুলক গোয়েন্দা উপন্যাস

৫টি রহস্য উপন্যাস - দেবেল দেববর্মা বাংলা রহস্যমুলক গোয়েন্দা উপন্যাস পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ৫টি রহস্য উপন্যাস
লেখক- দেবেল দেববর্মা
বইয়ের ধরন- রহস্যমুলক গোয়েন্দা উপন্যাস
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪৩৮
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ-  ২৩ এমবি
প্রিন্ট ভালো, অবশ্যই জলছাপমুক্ত

এই বইতে যে পাঁচটি রহস্যমুলক গল্পগুলি রয়েছে, সেগুলি হল-
কোণারকে কুয়াশা
রাত তখন দশটা
অথৈ জলে মানিক
অন্তরে আঁধার
অন্ধকারের মুখ

গল্পের ধরন:
কোণারকে কুয়াশা-
একদা গোয়েন্দা বিভাগের উঁদে ডেপুটি কমিশনার অতিবিক্ৰম মজুমদার অবসর নেওয়ার পর এসেছেন কোণারকে। উদ্দেশ্যটা অভিনব। তাঁর জামাই ইংলন্ড থেকে একটা কোর্স করে সেখান থেকেই এক নামী বিলিতি কোম্পানির চাকরি নিয়ে ভারতে ফিরেছে। মেয়ে এবং তার স্বামীর কোণারকে সাক্ষাৎ হোক এটাই ছিল তাঁর অভিপ্রায়। কিন্তু ভুবনেশ্বর এবং কোণারকে অনেক পুরনো পাপীর সঙ্গে দেখা হল অতিরিক্রম মজুমদারের। তারপর একদিন শেষ রাত্তিরে কোণারক মন্দিরের কাছে ঘন কুয়াশার মধ্যে শাদা পোশাক পরা অপসৃয়মাণ এক অবয়ব দেখেছিল চৌকিদার। সেইসঙ্গে গুলি। জামাই শংকরের লাশটা পাওয়া গেল ভোরে। কে এই খুনি? জেলখাটা সুন্দর সিং? প্রশান্ত? গঞ্জালেশ? অ্যান্ডারসন? জয়সোয়াল? কিম্বা-। কোণারকের কুয়াশা সরিয়ে সেই রহস্যের উঘাটন হল কেমন করে?

রাত তখন দশটা-
দিকনগর পেপার মিলের সুন্দরী টেলিফোন অপারেটার তরঙ্গমালা খুন হল প্রায় নির্জন একটা রাস্তার মোড়ে। রাত তখন দশটা। আর সেই খুনের তদন্তে এলেন সি.আই.ডি, ইন্সপেক্টর রাজীব সান্যাল। একাধিক সাসপেক্ট, কাকে ছেড়ে কাকে নিয়ে পড়বেন? এদের মধ্যে আছে তরঙ্গের প্রেমিক নিখিলেশ, তার বন্ধু শশাংক, ম্যানেজারের পেয়ারের লোক ভৈরব দত্ত, বিশ্বনাথ এমন কী খোদ ম্যানেজার প্রেমপ্রার্থী সুদর্শন চক্রবর্তী, সব শেষে লেসবিয়ান মহিলা সুজাতা-।

অথৈ জলে মানিক-
ছেলে চুরি নতুন ঘটনা নয়, আকছার হয়। কিন্তু বাচ্চাটা যদি সদ্যোজাত কিম্বা একদিনের তাহলে তদন্তে নেমে গোয়েন্দা গলদঘর্ম। কারণ তার গলায় শুধু একটা নম্বর। সেটি সরালেই সে কার সন্তান বোঝা কঠিন। তবু জননীকে সেই বাচ্চা ফিরিয়ে দিল রাজীব সান্যাল। সওয়াল আর মেডিক্যাল সায়েন্সের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে। হ্যা, অথৈ জল থেকে মানিক আবার মায়ের কোলে।

অন্তরে আঁধার-
কী খেয়াল হতে দয়াল দত্ত একটা ক্ষুর কিনলেন দাড়ি কামাবেন বলে। আর তান্ত্রিকের পরামর্শে আঙুলে পরলেন রক্তমুখী নীলা। একদিন সকালে দেখা গেল দয়াল দত্ত নিজেই তার গলা কেটেছেন। ক্ষুরটা হাতে গোঁজা। কিন্তু সন্দেহভাজন তো অনেকে। ব্যবসার পার্টনার হরকান্ত, আত্মীয় মণিরঞ্জন, মধ্যবয়সী মেয়ে সারদা যে সংসার দ্যাখে। আর ছেলে প্রভঞ্জন, স্ত্রীকে ফেলে যে বম্বেতে এক গোয়ানিজ রমণীর সঙ্গে থাকে। আর পুত্রবধু, রাত্রে যার ঘরে ফিসফিসানি। এ ছাড়া কনভেন্টে-পড়া দিলীপ। যাকে লোকে বাবুর পুষ্যিপুতুর বলে জানে।

অন্ধকারের মুখ-
রাত দুপুরে বাড়িতে ঢিল পড়ত। মাঝে মাঝে। তারপর সুন্দরী নীপা রায় হঠাৎ আত্মহত্যা করলেন। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্ট যে বলল মিসেসের বাঁ পায়ের গােড়ালির একটু ওপরে একটা কালো দাগ পাওয়া গেছে। ফরেনসিক রিপোর্টে জানা গেল ওই কালচে দাগটা শরীরে কিছু পুশ করার ফলেই সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু মিসেস বাযকে কে খুন করল? তার ডাক্তার স্বামী, অধ্যাপক দত্ত, নীলাদ্রি, নায়ক দেবরাজ মিত্র, মনোহর, নীপার কাকা। তারপর চন্দ্রবদন? ট্রেনের কামরায় ডাক্তারের বউকে সে কী অবস্থায় দেখেছিল?
এই সবগুলি রহস্যের উপর হইতে পর্দা উন্মোচন করতে এই বইয়ের সবগুলি উপন্যাস পডুন।

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে উপরোক্ত রহস্যমুলক গোয়েন্দা উপন্যাস সংকলন বই- '৫টি রহস্য উপন্যাস' -এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন