ত্রৈলোক্যনাথ রচনাবলী অখন্ড সংস্করণ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Thursday, August 23, 2018

ত্রৈলোক্যনাথ রচনাবলী অখন্ড সংস্করণ


ত্রৈলোক্যনাথ রচনাবলী অখন্ড সংস্করণ পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'ত্রৈলোক্যনাথ রচনাবলী' (তিন খন্ড একত্রে সমগ্র রচনা)
লেখক- ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
সম্পাদনা- প্রফুল্ল কুমার পাত্র
বইয়ের ধরন- অখন্ড সংস্করণ, সংকলন
মোট পৃষ্টা আছে- ৮৫০
পিডিএফ সাইজ- ৪৯এমবি
জলছাপমুক্ত, ভালো প্রিন্ট
সুপ্রসিদ্ধ হাসির লেখক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় বাংলা ১২৫৪ সালের ৬ই শ্রাবণ ইংরাজী ১৮৪৭ খ্রঃ ২২শে জুলাই উত্তর ২৪ পরগণার অন্তর্গত শ্যামনগরের নিকট রাহুতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ছিল বিশ্বম্ভর মুখোপাধ্যায়। বালক ত্রৈলোক্যনাথ গ্রামের চুঁচুড়ায় ডাফ সাহেবের স্কুলে ও ভদ্রেশ্বরের নিকটবর্তী তেলিনীপাড়া স্কুলে শিক্ষাপ্রাপ্ত হন। সংসারের অসচ্ছল অবস্থার জন্য ১৮৬৫ খ্রীঃ বাড়ী থেকে রোজগারের উদ্দেশ্যে বাহির হয়ে যান এবং নানা দেশ ভ্রমণ করেন। প্রথমে দ্বারকা (বীরভূম) উখড়া (রাণীগঞ্জ) এবং শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রভৃতি বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকতার কাজ করেন। কিন্তু কোথাও মনঃপুত না হওয়ায় কটকে চলে যান। কটক জেলার ১৮৬৮ সালে পুলিশ সাব ইন্সপেক্টার হন। সেখানে ওড়িয়া ভাষা শিক্ষা করে, ওড়িয়া 'উৎকল শুভকরী’ নামে মাসিক পত্রিকার সম্পাদনা করেন। পুলিশের চাকরী করা কালীন সুপ্রসিদ্ধ স্যার উইলিয়ম হান্টার সাহেবের সঙ্গে পরিচিত হন। হান্টার সাহেব ইহার কথাবার্তা এবং অগাধ পাণ্ডিত্যে সন্তুষ্ট হয়ে কলিকাতায় ১৮৭০ খ্রীঃ নিজের অফিসে ‘বেঙ্গল গেজেটিয়ার’ সংকলন অফিসে কেরানীর পদে নিযুক্ত করেন। অতঃপর ইনি উত্তর পশ্চিম প্রদেশের কৃষি ও বাণিজ্য বিভাগের অফিসে প্রধান কেরানীর পদে নিযুক্ত হন। পরে বিভাগীয় ডাইরেক্টরের একান্ত সহকারী হন। ১৮৮১ খ্রীঃ ভারত সরকারের রাজস্ব বিভাগে বদলী হন। ১৮৮৬ খ্রীঃ এই বিভাগ ত্যাগ করে কলিকাতা মিউজিয়ামে সহকারী কিউরেটর হন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে দেশীয় শিক্ষা বাণিজ্যে যাতে উন্নতি হয় তার যথেষ্ট চেষ্টা করেন। এই সময়ে ইনি এই বিষয়ে মনোনিবেশ করেন। কলকাতা, বোম্বাই প্রভৃতি বড় বড় শহরে এবং বড় বড় রেলস্টেশনে ভারতীয় কারুকার্যের যে সকল দোকান দেখতে পাওয়া যায় ইহার উদ্যোগেই সেগুলি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে যে সব শিল্প দ্রব্য নির্মিত হত সেই সব শিল্প দ্রব্যের একটি তালিকা ইংরাজীতে প্রকাশ করেন। লোকে যাতে অনায়াসে বুঝতে পারে সেইজন্যেই এই গ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন। বর্ধমানে বসবাসকালে ফার্সী ভাষা শিক্ষা করে অভূতপূর্ব নাম করেছিলেন।
১৮৭৭-৭৮ খ্রীঃ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ভয়ানক দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হয় সে সময়ের লোকেদের খাওয়া-দাওয়া অসুবিধার কথা চিন্তা করে গাজরের চাষ করলে দুর্ভিক্ষের সময় প্রাণ বাঁচানোর উপায় হিসাবে গভর্নমেন্টকে এই বিষয়ে জ্ঞাপন করলে, গভর্ণমেন্ট কয়েকটি জেলায় গাজরের চাষের বন্দোবস্ত করে দেন ১৮৮৭ খ্রীঃ। দু’বছর পরে রায়বেরিলী ও সুলতানপুর জেলার দুর্ভিক্ষের সময় তার প্রস্তাবিত গাজর চাষের জন্য বহু প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল।
১৮৮২ খ্রীঃ ভারত গভর্ণমেন্টের রাজস্ব বিভাগে চাকরী হলে ইনি উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শিল্পোন্নতির জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেন এবং বিশেষ কৃতকার্য হন।
১৮৮৩ খ্রীঃ কলিকাতা আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে কয়েকটি বিষয়ে অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৮৮৬ বিলাতে প্রদর্শনী আরম্ভ হয়, তখন ত্রৈলোক্যনাথকে ইংলণ্ডের প্রদর্শনীতে পাঠানো হয়, সেই সময় ইউরোপের নানা স্থানে ভ্রমণ করেন এবং A visit to Europe নামক গ্রন্থ রচনা করেন। এই গ্রন্থে সমুদোয় কার্যাবলী ও ভ্রমণ বৃত্তান্ত বিবৃতি রয়েছে। ১৮৮৬ খ্রীঃ ত্রৈলোক্যনাথ রাজস্ব বিভাগের কর্ম পরিত্যাগ করে কলিকাতা মিউজিয়ামের চাকুরী গ্রহণ করেন। এই সময়ে ইনি গভর্ণমেন্টের অনুমতি অনুসারে Art Manufactures of India নামক একখানি পুস্তক প্রণয়ন করেন। কিন্তু বাংলা দেশে সাহিত্যিক হিসাবেই তার পরিচয়। তিনি বাংলা সাহিত্যে অজ্ঞাত পূর্বক এক উদ্ভট হাস্যরসের প্রবর্তক ছিলেন। বাংলা ভাষায় ইনি একজন প্রসিদ্ধ লেখক। বঙ্গবাসী অফিস হতে প্রকাশিত জন্মভূমি মাসিক পত্রিকায় ইনি অনেক ভালো ভালো প্রবন্ধ লিখেছিলেন। “বিশ্বকোষ” নামক অভিধান ইহার প্রচেষ্টাতেই আরম্ভ হয়। “বিশ্বকোষ” অভিধান রচনায় ভ্রাতা রঙ্গলালকে প্রচুর সাহায্য করেন। জন্মভূমি সাপ্তাহিক পত্রিকায় নিয়মিত লেখক ছিলেন। Wealth of India মাসিক পত্রিকার সম্পাদনা কার্যেও তিনি সাহায্য করতেন।
ইনার রচিত বাংলা গ্রন্থ কঙ্কাবতী (১৯০৭), ফোলা দিগম্বর (১৩০৭), মুক্তমালা (১৯০১ খ্রীঃ), মজার গল্প (১৩১২), পাপের পরিণাম, ডমরু চরিত (১৯২৩ খ্রীঃ) নয়ন চাদের ব্যবসা, জাপানের উপকথা, লুন্ধু, বীরবালা প্রভৃতি অনেক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাহা ছাড়া A Descriptive catalogue of Products, A Hand Book of Indian Products, A list of Indian Economic Products প্রভৃতি এবং বিজ্ঞানবোধ ও আরো কয়েকটি বিদ্যালয় পাঠ্যের তিনি প্রণেতা। তাহাব রচিত ‘ডমরু চরিত’ অপূর্ব সৃষ্টি। এই বই সকল পাঠক পাঠিকার মন জয় করতে পেরেছে। “কঙ্কাবতী” উপন্যাস সম্বন্ধে। কল কলাই এই প্রসঙ্গে বলেছেন “এইরূপ অত রূপকথা ভাল করিয়া লেখা বিশেষ ক্ষমতার কাজ। ...এতদিন পরে বাঙ্গলায় এমন লেখকের অভূদয়.যাঁহার লেখা আমাদের দেশের বালক বালিকাদের এবং তাদের পিতামাতার মনোরঞ্জন করিতে পারিবে।বস্তুত সার্থক ফ্যানটাসীর পাঠকদের মধ্যে বয়সের ভেদাভেদ নেই এবং তার । কাহিনী কখনও পুরোনো হয় না। একশ বছর যাবৎ বাংলা সাহিত্যের পাঠক মহলে কঙ্কাবতীর অক্ষুন্ন সমাদর আজ ও সেই কথা প্রমাণ করে চলেছে।
১৮৯৬ খ্রীঃ ইনি পেনসন গ্রহণ করেন। অমর লেখক ত্রৈলোক্যনাথ মাত্র ৭৩ বছর বয়সে, সকলকে কাঁদিয়ে ১৯১৯ খ্রীঃ ১১ই মার্চ ইহলোক ত্যাগ করে অমরত্ব লাভ করেন। - প্রফুল্ল কুমার পাত্র

ত্রৈলোক্যনাথ রচনাবলী

যে গল্পগুলি এই বইতে রয়েছে, সেগুলি হল-
জীবন ও সাহিত্য
প্রথম খন্ড
ফোকলা দিগম্বর
পাপের পরিণাম
ডমরু-চরিত
বাঙ্গাল-নিধিরাম
বীরবালা
লুল্লু

দ্বিতীয় খন্ড
নয়নচাঁদের ব্যবসা
কঙ্কাবতী
সোনা-করা যাদুগরের গল্প
ভানুমতী ও রুস্তম
জাপানের উপকথা
পূজার ভূত
পীঠে-পার্ব্বণে চীনে ভূত
বিদ্যাধরীর অরুচি
মেঘের কোলে ঝিকিমিকি - সতী হাসে ফিকি ফিকি
এক ঠেঙো-ছকু

তৃতীয় খন্ড
মুক্তা-মালা
প্রথম রজনী-গড়গড়ি মহাশয়
দ্বিতীয় রজনী-গুরুদেব
তৃতীয় রজনী-পায়ের বেড়ী
চতুর্থ রজনী-যিনি ভুমিকম্প করেন
পঞ্চম রজনী-সাগর বক্ষে
ষষ্ঠ রজনী-ডাকিনীর বাড়ি
সপ্তম রজনী-মুন্ডুমালা
আদূরী ও আরসী
ভূতের বাড়ী
পুরাতন কূপ
শম্ভু ঘোষের কন্যা
ললিত ও লাবণ্য
মূল্যবাণ তামাক ও জ্ঞাণবান সর্প
সেকালের মোহর
ভয়ানক আংটি
কেন এত নির্দয় হইলে
বেতাল ষড়বিংশতি
মদন ঘোষের বদনে হাসি
শেষ ভাগ
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে উপরোক্ত বাংলা অখন্ড সংস্করণ বই- 'ত্রৈলোক্যনাথ রচনাবলী' -এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment