শব্দ-নৈঃশব্দের চিত্র - প্রিয়ম্বদা দেবী বাংলা কাহিনী সংকলন পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Tuesday, July 17, 2018

শব্দ-নৈঃশব্দের চিত্র - প্রিয়ম্বদা দেবী বাংলা কাহিনী সংকলন পিডিএফ


শব্দ-নৈঃশব্দের চিত্র - প্রিয়ম্বদা দেবী বাংলা কাহিনী সংকলন পিডিএফ ফাইল
ডিজিটাল বইয়ের নাম- শব্দ-নৈঃশব্দের চিত্র
লেখক- প্রিয়ম্বদা দেবী
ধরন- দুষ্পাপ্য বাংলা বই
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৮৮
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৭এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
‘আজ যাঁর জীবনে অনেক সুখ, ভবিষ্যতে অনেক আশা তিনি তো জীবনের রাজা, কিন্তু যাঁর জীবনে একটি বৃহৎ সুখের স্মৃতি আছে তাঁকেও দরিদ্র বলা যায় না।’ (কণিকা, ভারতী, পৌষ ১৩১২) —জীবন সম্পর্কে এই উপলব্ধি যার, তিনি আজ থেকে ঠিক একশো বছর আগে, ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে স্বামীকে হারিয়েছিলেন। তার এগারো বছর পরে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে হারিয়েছিলেন একমাত্র সন্তান-বালক পুত্র তারাকুমারকে। তবু নিজের মনের বিশেষ ক্ষমতাবলে এই নারী জীবন থেকে আহরণ করে নিয়েছিলেন চরিতার্থতার স্বাদ । তিনি—প্রিয়ম্বদা দেবী—দুই শতাব্দীর সন্ধিক্ষণে বাংলা সাহিত্যের আসরে অতীব সক্ষম কিন্তু নম্র লেখনী হাতে নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন। বিশ শতকের প্রথম চার দশকের কিছু বেশি সময় ব্যাপী ছিল তাঁর সাহিত্যিক উপস্থিতি। প্রধানত ছিলেন কবি ও শিশুদের জন্য রচিত কথাসাহিত্যের লেখক। এছাড়াও বিচিত্র ধরনের লিখনকর্মে তাঁর সক্রিয় উপস্থিতি দেখা যায়। তাঁর জীবনও ছিল এক সজল অথচ দুৰ্গতিমান বর্ণমালায় লেখা আখ্যান ।
প্রিয়ম্বদার জন্ম হয় ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে যশোরে । যদিও যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত বঙ্গের মহিলা কবি (সংস্করণ ১৯৫৩) গ্রন্থে এবং ব্ৰজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় “বাংলা সাহিত্যে বঙ্গমহিলার দান' প্ৰবন্ধে (বিশ্বভারতী পত্রিকা, বৈশাখ-আষাঢ় ১৩৫৭ বঙ্গাব্দ) তাঁর জন্মস্থান ‘গুনাইগাছা' বলে উল্লেখ করেছেন—এবং তারপর থেকে এই ভ্ৰান্ত তথ্যটিই প্রিয়ম্বদার যাবতীয় পরিচয়-পঞ্জীতে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এই ভুলের কারণ ছিল এই যে, প্রিয়ম্বদার পিতা কৃষ্ণকুমার বাগচী ছিলেন গুণাইগাছার সম্পন্ন জমিদার ও কুলীন বংশের সন্তান। কিন্তু কলকাতা শহরের সুপ্রতিষ্ঠিত, সুশিক্ষিত, মর্যাদাবান, নাগরিকতার আভিজাত্যমণ্ডিত চৌধুরী পরিবারের কন্যা প্রসন্নময়ী দেবী কৃষ্ণকুমারের সঙ্গে পরিণয়বন্ধনে আবদ্ধ হলেও স্বামীগৃহ তথা শ্বশুরালয় গুণাইগাছাতে বাস করতেন না। প্রসন্নময়ীর পিতা, প্রিয়ম্বদার মাতামহ দুর্গাদাস চৌধুরী ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি প্রশাসন-কমী । প্রসন্নময়ী পিতার সঙ্গেই তাঁর বিভিন্ন কর্মস্থলে ঘুরে বেড়াতেন। বিবাহের পরেও তার অন্যথা ঘটেনি। দুর্গাদাস যখন যশোরে ডেপুটির পদে ছিলেন তখন সেখানেই প্রিয়ম্বদার জন্ম হয়েছিল—একথা প্রসন্নময়ী দেবী তাঁর আত্মস্মৃতি পূৰ্ব্বকথা-তে স্পষ্টই লিখে গেছেন। “পিতৃদেব যশোহর বদলী হইয়া যান ও সেইখানে এই তিনজনের এবং প্রিয়রও জন্ম হইয়াছিল।' (সংস্করণ ১৯১৭, পৃ ৭২)। ‘এই তিনজন হলেন দুর্গাদাসের সর্বশেষ তিন সন্তান সুহৃদ নাথ, অমিয়নাথ ও মৃণালিনী । প্রিয়ম্বদা দেবীর মাতুল পরিবারে ছিল বিদ্যা ও বুদ্ধিচর্চার পরিশীলিত ঐতিহ্য। মাতামহ দুৰ্গাদাস চৌধুরী ছিলেন বিদ্যানুরাগী ও মুক্তমন। ছেলেদের বিলেতে পাঠিয়েছিলেন স্বেচ্ছায়, সমাজে প্ৰায়শ্চিত্তের দাবি উঠলে তা অগ্রাহ্য করেছিলেন জোরের সঙ্গে। প্রসন্নময়ীর লেখা থেকে একটি সুন্দর তথ্য জানা যায়—“পিতৃদেব ছুতার মিস্ত্রী দ্বারা বার স্বর ও ছত্রিশ ব্যঞ্জন বৰ্ণ খোদিত করিয়া অক্ষর পরিচয় করাইয়াছিলেন ।” (পূর্বকথা, ১৯১৭, পৃ. ৪৪) ! আজি থেকে একশো বছরেরও বেশি আগে যো-পিতা এই পদ্ধতিতে সন্তানদের বর্ণ-পরিচয় করান-তাঁর সন্তানদের রক্তে থাকবে বিদ্যানুরাগবলা বাতুল্য। প্রিয়ম্বদার মানসে মিলিত হয়েছিল দুই প্রজন্মের মনন-সমৃদ্ধি। তাঁর মা প্ৰসন্নময়ী ছিলেন তৎকালে প্রতিষ্ঠিত কবি। বড়ামামা আশুতোষ চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত ব্যারিস্টার হওয়া ছাড়াও ছিলেন। কলকাতার সারস্বত সমাজের ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের এক প্রধান ব্যক্তিত্ব ; রবীন্দ্রনাথের বন্ধু, বিবাহসূত্রে ঠাকুর-পরিবারের নিকটাত্মীয়। তাঁর ছোটভাই প্রমথ চৌধুরীর আসন বাংলা সাহিত্যে স্থায়িত্ব পেয়েছে। বিখ্যাত সবুজপত্র পত্রিকার কর্ণধার ছিলেন তিনি। তাঁদের আরো দুই ভাই যোগেশচন্দ্র ও কুমুদনাথ নিজ নিজ কৰ্মক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করবার পরেও কিছু-না-কিছু লেখা ও সম্পাদনার কাজ করেছেন । ঠাকুর-পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার আবহাওয়ায় বড় হয়েছেন প্রিয়ম্বদা। সাহিত্যচর্চার প্রেরণা তাঁর প্রায় সহজাত ছিল। তা সত্ত্বেও কিন্তু ১৩০২ বঙ্গাব্দে মুকুল পত্রিকা প্রকাশিত হবার আগে তাঁর মুদ্রিত রচনা দুটি— ‘ফুল' (বামবোধিনী, আশ্বিন ১২৯২) আর ‘গান’ (ভারতী ও বালক, কাৰ্ত্তিক ১২৯৩) । দুটিই বিশেষভাবে ‘বালিকার রচনা’ বলে উল্লেখিত ছিল । তাঁর বয়স তখন চোদ ও পনেরো। প্রিয়ম্বদা লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন । একেবারে ছোট বয়সে কৃষ্ণনগরে কিছুকাল পড়বার পর ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে এগারো বছর বয়সে কলকাতায় বেথুন স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই সংস্কৃত সাহিত্যে অনার্স নিয়ে বি. এ. পাস করেন । ১৮৯২ সালে তাঁর বিবাহ হয় আইনজীবী তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে । তারাদাস ছিলেন প্রসন্নময়ীর ছোট বোন মৃণালিনীর স্বামী, ডাপ্তার উমাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অগ্রজ । প্রিয়ম্বদার স্বামীগৃহ ছিল মধ্যপ্রদেশের রায়পুরে। সেখানে, বিবাহের তিন বছর পরেই ১৮৯৫ সালে ক্ষয়রোগে মৃত্যু হয় তারাদাসের। এক বছরের শিশুপুত্র তারাকুমারকে নিয়ে কলকাতায় ফিরে এলেন প্রিয়ম্বদা। শোকাের্ত জীবনের অবলম্বন রূপেই তিনি এরপর লিখতে শুরু করেন। দুটি ধারায় প্রধানত উৎসারিত হয়েছিল তাঁর সাহিত্য- প্রথমত, কবিতা। সেই কবিতা কখনো বিষাদকরুণ, কখনো ঈশ্বরের কাছে আত্মনিবেদনের, কখনো যে-কোনো সূক্ষ্মী উপলব্ধিময় এবং অনেকগুলিই রোমান্টিক প্রেমের । দ্বিতীয়ত-ছোটদের জন্য লেখা। বালকমনের উপযোগী বহু গদ্য ও কবিতা তিনি রেখে গেছেন যার সমুচ্চ মান এবং বিশিষ্টতা কালোন্তীর্ণ হতে পেরেছে। অন্যান্য ধরনের লেখাও তিনি লিখেছেন, সেগুলিও যথেষ্ট আকর্ষক। বহুবিধ সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন প্রিয়ম্বদা, মেলামেশা করেছেন বহু মানুষের সঙ্গে। সেই যুগের শিক্ষিত, অভিজাত সমাজেরই একজন ছিলেন তিনি। সমকালীন মনীষী ও বিশিষ্ট্য ব্যক্তিবর্গের সান্নিধ্য পেয়েছেন। সহজেই। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে নিজস্ব সুখের সংসার গড়ে উঠতে পারেনি কোনোদিন । পুত্র তারাকুমারকে পড়তে পাঠানো হয়েছিল কাশীর সেনট্রাল স্কুলে। সেখানে বারো বছর বয়সে কলেরায় তার মৃত্যু হয় ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে। তার শেষ শয্যায় প্রিয়ম্বদা গিয়ে পেঁৗছতেও পারেননি। তখন তাঁর বয়স পঁয়ত্রিশ। প্রিয়ম্বদা জীবিত ছিলেন তেষট্টি বছর বয়স পর্যন্ত। ১৯৩৫ সালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। রেখে যান এক স্মরণযোগ্য ও সংরক্ষণযোগ্য সাহিত্যসম্ভার। সেই সঙ্গেই তাঁর জীবন ও ব্যক্তিত্বও আমরা ভুলতে পারি না। শোক-সংবৃত, আত্মস্থ, শান্ত মর্যাদায় নিজেকে ভূষিত করে নেওয়া এই নারী আমাদের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেন ।
প্রিয়ম্বদার ছোটদের জন্য লেখা একাধিক গ্ৰন্থ আছে। একটি শিশু-উপন্যাস অনাথ (১৯১৫), একটি অনুবাদ উপন্যাস পাণ্ডুলাল (১৯২৩) ; একটি অনূদিত শিকার কাহিনী ঝিলে জঙ্গলে শিকার (২য় সংস্করণ ১৯৩৯), দেশী ও বিদেশী লোককথাভিত্তিক একটি গল্পসংকলন কথা ও উপকথা (১৯২৩)। পত্নলাল কালোঁ কলোদি রচিত পিনোক্লিয়ো উপন্যাসের অনুবাদ, স্পোর্টস ইন কীটলস অ্যাণ্ড জঙ্গলস্, কুমুদনাথ চৌধুরী রচিত শিকার বৃত্তান্ত। এই বইগুলি মুদ্রিত নেই, সহজপ্রাপ্যও নয়, তবু গ্ৰন্থাগারভুক্ত । কিন্তু পুস্তকাকারে অপ্রকাশিত, পত্রিকায় ছড়ানো লেখাগুলি একেবারেই অপরিচিত থেকে গেছে।
লেখাগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা চলে। (ক) স্মৃতিকথা ও ভ্রমণমূলক রচনা, (খ) সরাসরি অনুবাদ, (গ) বিভিন্ন উৎস অবলম্বনে রচিত শিশুপাঠ্য গল্প, (ঘ) মৌলিক গল্প, (ঙ) সত্য ঘটনামূলক গল্পকার রচনা।
সরাসরি অনুবাদগুলি Andrew Lang - সংকলিত Animal Story Book থেকেনেওয়া, এই বইটিতে পশু ও পাখিসংক্ৰান্ত অনেকগুলি গল্প ও সত্যঘটনা সংকলিত। অনুবাদের জন্য অত্যন্ত শিশু-মনোহারী গল্প প্রিয়ম্বদা বেছে নিয়েছেন। একটি উদাহরণ— "টুবলু’ (মুকুল, বৈশাখ, ১৩১৬)। দুরন্ত ও বুদ্ধিমান একটি ইদুরছানার গল্প, যে তার মাকে বলে, “এখনও কি তোমার আঁচলের তলায় থাকব ? অতি দুঃসাহসের ফলে তার লেজ কাটা পড়ল একবার। কিন্তু সাহস ও বুদ্ধিবলে সত্যিই সে ইদুরদের নেতা হয়ে উঠল। তার কার্যকলাপের বিবরণ শিশুদের নির্মল আনন্দ দেবে। গল্পের শেষে কিন্তু টুবলুবুড়ো হয়ে মারা গেছে। গল্পের শেষে অপরাধের শাস্তি বা মৃত্যু দেখানাের প্রবণতা প্রিয়ম্বদার লেখাতে পাওয়া যায়। জীবনের সবটাই যে হাসিখেলার লঘুতা দিয়ে তৈরি হয়নি সে সম্পর্কে শিশুদের সচেতন রাখার ইচ্ছে তাঁর ছিল মনে হয়।
সত্যঘটনামূলক রচনাগুলিও প্রায়ই পশুপাখি নিয়ে লেখা। ‘টমির বাঘ' (মুকুল, অগ্রহায়ণ, ১৩১২) ; “আমার ময়ুর (সন্দেশ, শ্রাবণ, ১৩২০), ‘কালা ও হায়দার’ (সন্দেশ, অগ্রহায়ণ, ১৩২৩— দুটি ঘোড়ার গল্প), ‘এণা” (সন্দেশ, ফাল্গুন, ১৩২৪— পোষা হরিণীর গল্প)। এই লেখাগুলির কোনাে বৃহত্তর তাৎপর্য বা উদ্দেশ্য নেই—শিশুদের আনন্দ দেওয়া ছাড়া। পশুপাখির প্রতি শিশু-মনের স্বাভাবিক আকর্ষণকে তিনি এই গল্পগুলির ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়েছেন। চৌধুরী-পরিবারের অনেকেরই পশুপাখির প্রতি প্ৰবল আগ্রহ ছিল--একথাও মনে রাখা যায় ।
নিজস্ব ঝরঝরে ভাষায় প্রিয়ম্বদা শিশুদের দেশবিদেশের অনেক গল্প শুনিয়েছেন। বিস্ময়কর তার বিস্তার ও বৈচিত্ৰ্য। শুধু মুকুল পত্রিকাতেই প্রকাশিত এজাতীয় অসংখ্য লেখার কয়েকটি হল— ‘উতঙ্কের গুরুদক্ষিণা’ (পৌষ, ১৩০৭), ‘কাফ্রিদের রূপকথা (বৈশাখ, ১৩১১), ‘জাপানিদের রূপকথা” (আষাঢ়, ১৩১১), ‘ভদ্রশীল জাতক' (ভাদ্র, ১৩১৫), প্লুটাে-প্রসাপিনের কাহিনী “বসন্তের কথা' (মাঘ ও ফাল্গুন, ১৩১৫), ‘আপোলো ও ডায়েনার শৈশবকাল' (বৈশাখ, ১৩১৭), চীনা উপকথা ‘রত্নহ্রদ’ (বৈশাখ, ১৩২০)। মৌচাক, বৈশাখ, ১৩২৭-এ বেরিয়েছিল ‘বিশ্ববীণা-গন্ধৰ্ব ও সমুদ্রকন্যাকে নিয়ে বীণা সৃষ্টি সংক্রান্ত একটি মনােরম উপকথা। এমন আরো বহু আছে।
শিশুদের মনের প্রসার ঘটানো, বাস্তবের সঙ্গে তাদের পরিচিত করা, দেশ-বিদেশের মনােরম রূপকথা-উপকথার সম্ভারে তাদের জানার জগৎ ও কল্পনার আকাশকে বিস্তৃত করে দেওয়ার কাজ তিনি করেছেন একই সঙ্গে। শিশু ও বালক-বালিকাদের মন বিকৃতির দিকে না গিয়ে সুস্থতা, শুভবােধ আর সুন্দরের দিকে ধাবিত হােক এই চেতনা তাঁর ছােটদের লেখায় সমুজ্জ্বল। অথচ তাঁর লেখা উপদেশাত্মক নয়। শিশু মনস্তত্ত্বের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণে ও মনােহারী আখ্যান নির্মাণে প্রিয়ম্বদা সিদ্ধালেখনী ছিলেন। অতি সাবলীল, অতি মধুর ও সপ্রতিভ, বহিরঙ্গ প্রসাধনহীন অথচ ঝরঝরে ভাষা ছিল তাঁর। এই বিরল রম্যতাগুণ যা একই সঙ্গে ছােটদের টেনে রাখে আর বড়রাও ছাড়তে পারেন না- খুব কম লেখকই আয়ত্ত করতে পারেন। আর এই ভাষাটি আয়ত্ত না হলে ঠিকমতো ছোটদের লেখক হওয়া যায় না। অনাথ উপন্যাসটি, যেখানে একগুচ্ছ শিশু আর বালকবালিকাই গল্পের চরিত্র, ছােটদের সামনে এক সুখ-দুঃখময়, করুণ মধুর আনন্দ ভরা জগতের দরজা খুলে দেয়। প্রিয়ম্বদার ছােটদের লেখাগুলির পুনমুদ্রণ ও সংকলন না করে আমরা আমাদের শিশুদের বঞ্চিত করে রাখছি। সাহিত্যের এই বিভাগে প্রিয়ম্বদা সর্বকালের লেখক ।- সুমিতা চক্রবর্তী
সুধী পাঠকগণ, আপনারা এই দুষ্পাপ্য বাংলা বইটির - 'শব্দ-নৈঃশব্দের চিত্র - প্রিয়ম্বদা দেবী' পিডিএফ ফাইল এই পোষ্ট হইতে সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

শব্দ-নৈঃশব্দের চিত্র – প্রিয়ম্বদা দেবী

প্রিয়ম্বদা দেবীর নির্বাচিত রচনা 'শব্দ-নৈঃশব্দের চিত্র - প্রিয়ম্বদা দেবী'

No comments:

Post a Comment