হোমিওপ্যাথি বনাম বিজ্ঞান পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Sunday, March 12, 2023

হোমিওপ্যাথি বনাম বিজ্ঞান পিডিএফ


হোমিওপ্যাথি বনাম বিজ্ঞান, বাংলা প্রবন্ধ বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'হোমিওপ্যাথি বনাম বিজ্ঞান'
বইয়ের ধরন- প্রবন্ধ
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৮২
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত

হোমিওপ্যাথি বনাম বিজ্ঞান

হোমিওপ্যাথিতে কি অসুখ সারে? নিশ্চই সারে। না হলে এত মানুষ হোমিও-চিকিৎসা করান কেন! ঘরে ঘরে হোমিওপ্যাথি কেন! সরকার প্রবর্তিত হোমিওপ্যাথি কলেজ, হাসপাতাল, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র কেন !
আপাতভাবে যুক্তিপূর্ণ শোনালেও কথায় ফাঁক আছে। কোন অসুখ কতজনের সারে? কতজনের সারে না? দুরূহ, জটিল, মারাত্মক ব্যাধি কি হোমিও চিকিৎসায় আদৌ নিরাময় হয়? সবচেয়ে বড় কথা, অসুখ সারলে কিভাবে সারে? কোন বৈজ্ঞানিক নিয়মে ? এই প্রশ্নগুলির নির্ভেজাল প্রামাণ্য উত্তর বা ব্যাখ্যা না পেলে হোমিওপ্যাথির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ থেকে যাবেই। কেবল অভিজ্ঞতায় নির্ভর করলে অনেক গোলমাল এসে যাবে। শুধু 'অসুখ সারে' বললে তো জলপড়া তেলপড়া মাদুলি আংটি রেইকি ম্যাগনেটোথেরাপি-তেও অনেকেরই রোগ সারে, কষ্ট কমে শোনা যায়। ‘কিভাবে' সারে তা নিয়ে সঠিক উত্তর পাওয়া যায় কই? সরকারের স্বীকৃতি কোনো বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি নয়। সরকারি নীতিতে রাজনৈতিক স্বার্থজড়িত থাকে। আধুনিক বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পরিষেবা শহরে-গঞ্জে-গ্রামে সুষ্ঠুভাবে পৌঁছে দেওয়ায় ব্যর্থ সরকার। সেই ব্যর্থতাকে আড়াল করতে সরকারি উদ্যোগে হোমিওপ্যাথিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, কলেজ ও চিকিৎসাকেন্দ্র চালু করা হচ্ছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। তাতে কি হোমিওশাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রমাণিত হয় ?

নানা কারণেই গত দেড় দু'দশকে হোমিও চিকিৎসা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আধুনিক বৈজ্ঞানিক চিকিৎসার (অ্যালোপ্যাথি) অপ্রতুলতা, সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া খরচ, ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী ওষুধের দাম, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির চরম ছন্নছাড়া দৈন্যদশা - এই সবই সাধারণ জনগণকে অপেক্ষাকৃত সুলভ হোমিও চিকিৎসার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ এটাই।
তা বলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক অহমিকায় ‘বাতিল' বলে রায় দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই, কারণ এ বিদ্যা নিয়ে চর্চা, সমীক্ষা, গবেষণা থেমে নেই। প্রয়োগ, পরীক্ষা, প্রচেষ্টা চলছে দেশে-বিদেশে। যাবতীয় হোমিও-চিন্তা এখনো অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীর হ্যানিম্যানে থমকে দাঁড়িয়ে আছে – একথা বলা ধৃষ্টতার পরিচয় হবে।
কাজেই বিতর্কের সুযোগ ও প্রয়োজনীয়তা থেকেই যাচ্ছে। যে-কোনো ‘প্যাথি' বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও ভিত্তির নিরীখে ছাড়পত্র পেলে তা মানুষেরই কল্যাণ সাধন করবে। বিজ্ঞানসম্মতভাবেই তা গ্রহণযোগ্য হবে, “বৈজ্ঞানিক গোঁড়ামি”কে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না ।

হোমিও-চিকিৎসা বিজ্ঞান-সমর্থিত নয়, এর কার্যকারিতা নিদান ও ওষুধ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রমাণিত নয়—এরকম স্পষ্ট সিদ্ধান্ত আধুনিক চিকিৎসক ও বিজ্ঞানকর্মীগণ যতই দর্পিত কণ্ঠে উচ্চারণ করুন না কেন, শিক্ষিত-অশিক্ষিত জনগণের অন্দরমহলে কিংবা সাধারণের মনের অন্তঃস্থলে হোমিওপ্যাথি অত সহজে বর্জিত বা প্রত্যাখ্যাত হয় না। এটা বাস্তব কথা। সত্যি কথা। যে কোনো কারণেই হোক, হোমিওর ছোট্ট ছিপিগুলি যে ঘরে ঘরে সযত্নে সমাদৃত হয় এবং সে সমাদর যে দিনকে দিন বাড়ছে বই কমছে না, সেকথা সচেতন গণবিজ্ঞানসেবীরা সম্যক জানেন। জেনেও চুপ করে থাকতে হয়, না হলে বাধ্য হয়ে ‘বৈজ্ঞানিক' গোঁয়ার্তুমিকে আঁকড়ে ধরে রাখতে হয় কারণ সাধারণ মানুষের সরল কৈফিয়ৎ হলো—ওসব বৈজ্ঞানিক ভিত্তিটিত্তি বুঝি না, সোজাসাপটা বিপরীত গোঁয়ার্তুমি। তৎপর আধুনিক ডাক্তার কিংবা বিজ্ঞানকর্মী ঝটিতি যুক্তি শানাবেন – সে তো ঝাড়ফুঁক টোকা মাদুলি মন্ত্রেও কোনো কোনো অসুখ সারে! কিভাবে সারে, কতটা সারে, সারতে গিয়ে অন্য বিপদ বাড়ে কিনা, সাদা গুল্লি আর জল ওষুধে সত্যি সত্যি কী আছে, এসব প্রশ্নের মীমাংসা করবে কে? স্রেফ বিশ্বাসের ভরসায় অপরীক্ষিত অবৈজ্ঞানিক ওষুধ শরীরে চালান করা কতখানি নিরাপদ? এই বইটি পড়ুন ও সত্যতা জানুন।

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে হোমিও-চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ বই- 'হোমিওপ্যাথি বনাম বিজ্ঞান' এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন। 

No comments:

Post a Comment