মহাতীর্থ একান্ন পীঠের সন্ধানে - নিগুঢ়ানন্দ, পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Monday, January 25, 2021

মহাতীর্থ একান্ন পীঠের সন্ধানে - নিগুঢ়ানন্দ, পিডিএফ


 মহাতীর্থ একান্ন পীঠের সন্ধানে - নিগুঢ়ানন্দ, পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- মৃত্যু ও পরলোক
লেখক- নিগূঢ়ানন্দ
বইয়ের ধরন- দর্শন, ধর্ম সমন্ধীয় বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৭৭
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৭এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত

মহাতীর্থ একান্ন পীঠের সন্ধানে

লেখকের বক্তব্য-
গ্রন্থ সম্পর্কে আমার কোন বক্তব্য নেই। সমস্ত গ্রন্থই লেখকের বক্তব্য তুলে ধরবে পাঠকের চোখের উপর। বক্তব্য আছে পাঠককে লক্ষ্য করে দু-একটি। বর্তমান গ্রন্থটি আমাদের বহুলোকের ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কিন্তু এ-গ্রন্থকে শুধুমাত্র সেই ধর্মবিশ্বাসের মানসিকতার প্রতি লক্ষ্য রেখেই রচনা করা হয়নি। লক্ষ্য রাখা হয়েছে তাদের দিকে, যারা বিচার বিশ্লেষণকে বিশ্বাসের চাইতে বড় বলে মনে করেন। সেই কারণে এ গ্রন্থের আরম্ভ ইতিহাস দিয়ে। সেই ইতিহাস দেখে কেউ যেন চিন্তা করতে বসে যাবেন না যে, এটা একটা ইতিহাস গ্রন্থ। এর মূল লক্ষ্য যথার্থই একান্নপীঠ । এর রচনা কৌশল তিনটি নিদিষ্ট পার্যায়ে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়ে আছে ইতিহাস, দ্বিতীয় পর্যায়ে দর্শন, এবং তৃতীয় পর্যায়ে স্থান নির্ণয়। কোন ধর্মভীরু পাঠক যেন ইতিহাস দর্শনেই অপাংক্তেয় বলে ত্যাগ করবেন না এ গ্রন্থ। আবার দর্শনের আলোচনা দেখে কোন বাস্তববাদীও যেন অচ্ছুৎ বলে মনে করবেন না এ রচনাকে। সত্য স্ব-মহিমায় ভাস্বর। কেউ তাকে ঢাকতেও পারেনা আবার কেউ তাকে প্রকাশ করতেও পারেনা। ধৈর্য ধরে সবটা পড়বার পর নিজের মনে এ রচনার প্রয়োজনীয়তা আপনার কাছে কতটুকু তা স্থির করুন। মতামত প্রত্যেকের নিজস্ব। এবং আমার বক্তব্য, সত্যই আমার লক্ষ্য—সে সত্য যদি দার্শনিক হিটমের মত হয়—অর্থাৎ Truth without God, তবু আমার অভিযাত্রা সেই সত্যের উদ্দেশ্যে বন্ধ হবেনা কখনও।

ভূমিকা-
শিব, শক্তি ও বিষ্ণু হিন্দুদের প্রধান আরাধ্য দেবতা; তাই শৈব, শাক্ত ও বৈষ্ণবতীর্থ ভারতের সর্বত্রই রয়েছে ছড়িয়ে। একান্নটি মহাপীঠ প্রধানতঃ শাক্ত পীঠস্থানরূপেই পরিচিত।
ভারতবর্ষে শাক্ত ধর্মের উদ্ভব, বিকাশ ও শাক্ত মহাপাঠগুলির ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয় সম্পর্কে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ডঃ দীনেশ চন্দ্র সরকারের ইংরাজী ভাষায় লিখিত 'The Sakta Pithas'। বর্তমান লেখক নিগুঢ়ানন্দ ঐ গ্রন্থটি থেকে অনেক তথ্য আহরণ করে মনোজ্ঞ ভংগীতে তা স্বলিখিত গ্রন্থে পরিবেশন করেছেন। ফলে নিগুঢ়ানন্দের গ্রন্থটির ঐতিহাসিক মর্যাদা বিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে স্মরণযোগ্য যে, ডঃ দীনেশ চন্দ্র সরকার ৫১টি মহাপীঠের প্রত্যেকটি পীঠস্থানের ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয় করতে পারেন নি। যদিও অধিকাংশ পীঠস্থানের অবস্থান তিনি নির্ধারণ করেছেন। নিগুঢ়ানন্দ "মহাতীর্থ একান্ন পীঠের সন্ধানে” গ্রন্থটিতে অনির্ণীত আরও বেশ কয়েকটি মহাপীঠের অবস্থান সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।
এই ব্যাপারে তিনি জনৈক বহুদর্শী ভ্রমণকারীর অভিজ্ঞতাকে বাস্তবে নিপুনভাবে প্রয়োগ করেছেন। লেখক মহাপীঠগুলির অবস্থান নির্ণয় করেই ক্ষান্ত হন নি, তিনি ঐ তীর্থস্থানে যাতায়াতের পথ এবং বিশ্রামভবনাদির নির্দেশও দিয়েছেন তাঁর গ্রন্থটিতে। ফলে তীর্থলোভী ভ্রমণকারীদের পক্ষে বইটি অমূল্য সম্পদ বলে বিবেচিত হবে আশা করাযায়। তা ছাড়া, একান্নপীঠ সম্পর্কিত কোন উল্লেখযোগ্য বই বাংলা ভাষায় অদ্যাপি রচিত হয় নি। বর্তমান গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে ঐ অভাব পুরনের দাবি রাখে।

বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
**বইটির পিডিএফ পড়ার পরে যদি আপনি বইটি পছন্দ করেন তবে আপনি অ্যমাজন থেকে বইটির হার্ডকভার এবং এই লেখকের অন্যান্য বই সংগ্রহ করতে পারেন।
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন- 'মহাতীর্থ একান্ন পীঠের সন্ধানে - নিগুঢ়ানন্দ' বাংলা বইয়ের পিডিএফ।

No comments:

Post a Comment